প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- বরানগর ও ভগবানগোলা কেন্দ্রের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রায়াত হোসনকে রাজভবনে এসে রাজ্যপালের কাছেই শপথ নিতে হবে বলে স্পষ্ট করা হয়েছে রাজভবনের তরফে এক সোশ্যাল পোস্টে। এ ব্যাপারে রাজ্যপালের একচ্ছত্র সাংবিধানিক ক্ষমতার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে ওই চিঠিতে। ওদিকে তৃণমূলের তরফে খবর, বিধানসভা উপ নির্বাচনে তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীরা রাজভবনে গিয়ে শপথ নেবেন কি না এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।মূলত, বরাহনগর ও ভগবানগোলার নির্বাচিত বিধায়ক রেয়াত হোসেন সরকারের শপথ গ্রহণ ঘিরে বেশ কয়েকদিন ধরে রাজ্য-রাজভবনের জটিলতা চলছে। প্রথমে নতুন দুই বিধায়কের শপথের জন্য রাজভবনকে চিঠি পাঠায় বিধানসভার সচিবালয়। তারপরই রাজভবনের পক্ষ থেকে পাল্টা চিঠি দিয়ে জানতে চাওয়া হয় প্রবীণ মহিলা বিধায়ক-নবীন বিধায়ক কে রয়েছেন? এরপর ফের বিধানসভা চিঠি দিয়ে রাজভবনকে দ্রুত শপথ বাক্য পাঠের আবেদন করে। সেই চিঠির প্রেক্ষিতে সায়ন্তিকা ও রেয়াত হোসেনকে চিঠি পাঠায় রাজভবন। যদিও রেয়াতের দাবি তিনি কোনও চিঠি পাননি। অপরদিকে সায়ন্তিকার বক্তব্য, চিঠিতে কে শপথবাক্য পাঠ করাবেন সে কথা উল্লেখ নেই। গতকাল আবার সায়ন্তিকা চিঠি পাঠান সি ভি আনন্দ বোসকে। সেখানে তিনি লেখেন, “বিধানসভার সদস্য যখন আমি। তখন স্পিকার যদি শপথ বাক্য পাঠ করান তাহলে ভাল হয়। আপনি (রাজ্যপাল) এটা কনসিডার করুন। আমি এলাকার কাজ করতে পারছি না।”রাজ্যপাল জানিয়েছেন, সংবিধানে বলা আছে, বিধায়কদের শপথ নেওয়ার ব্যাপারে শেষ কথা বলবেন রাজ্যপালই। সেই নিদান না মানলে তার শাস্তিও পেতে হয়। জরিমানা দিতে হয় বিধায়কদের। এই ক্ষমতা প্রয়োগ করেই ২০২১ সালের ৭ অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়কে শপথ পাঠ করিয়েছিলেন তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। যদিও অনুষ্ঠানটি হয়েছিল বিধানসভাতেই। আবার ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে জয়ী তৃণমূল বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়ের শপথগ্রহণ নিয়ে দড়ি টানাটানি হয়েছিল রাজভবন এবং বিধানসভার মধ্যে। শেষ পর্যন্ত নির্মলের শপথ হয়েছিল রাজভবনেই।