প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-পুলিশ হেফাজতে মারের জেরে ঢোলাহাটের যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্ট। শনিবারের মধ্যে এই দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত করতে হবে। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, তথ্যপ্রমাণ জোগাড় ও স্বচ্ছ তদন্তের স্বার্থে জরুরি ভিত্তিতে নথি জোগাড় করা দরকার। আর তাই দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত করা জরুরি।
হেফাজতে মৃত্যুর ক্ষেত্রে যেসব গাইড লাইন মানতে হয় সেসব মানতে হবে। ভিসেরার নমুনা সিএফএসএল হায়দরাবাদে পাঠাতে হবে। দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আগামী ২২ জুলাই আদালতে পেশ করতে হবে। মৃতের কাকা-সহ পরিবারের লোকেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ঢোলাহাটের ঘটনায় দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। প্রথমবার ময়নাতদন্তে যে রিপোর্ট উঠে এসেছে, তা দেখে একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি। গ্রেফতার করার সময় যিনি সুস্থ ছিলেন, সেই যুবক জামিন পাওয়ার চার দিন পর মারা গেলেন কীভাবে, এই প্রশ্ন উঠেছে আদালতে। তাই শুক্রবার বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, তদন্তের স্বার্থে ‘প্রমাণ এখনই সংগ্রহ করতে হবে, নাহলে আর ভবিষ্যতে সংগ্রহ করা যাবে না। আগামিকালই দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত করতে হবে। মৃতের বাবার উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।’গত চার জুলাই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে জামিন পেয়ে যান তিনি। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে একাধিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে কলকাতায় হাসপাতালে থাকাকালীন মৃত্যু হয় ওই যুবকের। অভিযোগ, গ্রেফতার করার পর ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয়েছিল ওই যুবককে। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ঢোলাহাট থানায় বিক্ষোভও দেখান প্রতিবেশী ও আত্মীয়রা| ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সম্পর্কে বিচারপতি উল্লেখ করেন, গ্রেফতারির চারদিন পর দেখা যায় সারা দেহে দাগ, কপালে রক্তের দাগ। রাজ্যকে বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন,’অনেক নতুন প্রশ্ন উঠে আসছে। জেলের মধ্যে মৃত্যু না হলেও সারা দেহে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে।’ মৃতের পরিবারকে হুমকি দেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, তার তদন্ত করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal