দেবরীনা মণ্ডল সাহা :-রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনেও গেরুয়া শিবির ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। এমনকী জেতা আসনও তাদের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছেন ঘাসফুল শিবিরের প্রার্থীরা। মানিকতলা, বাগদা, রানাঘাট দক্ষিণ, রায়গঞ্জ – চার কেন্দ্রেই তৃণমূল প্রার্থীদের জয়জয়কার।
বাগদা উপনির্বাচনে প্রায় ২০ হাজার ভোটে জয়ী হবেন তিনিই, দাবি করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে প্রথম নির্বাচনী লড়াইয়ের ময়দানে নামা ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়ির সদস্য মধুপর্ণা ঠাকুর। গণনা শেষ হতেই দেখা গেল বাগদা বিধানসভা উপনির্বাচনে মধুপর্ণা ঠাকুর ৩৩ হাজার ৬৬৪ ভোটে জয়ী হয়েছেন। আর তাতেই যেন মিলে গেল সদ্য রাজনীতির আঙিনায় পা রাখা বছর ২৫-র তৃণমূল প্রার্থীর কথা।ইতিমধ্যেই এই জয়ে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের উচ্ছ্বাস চোখে পড়েছে পাশাপাশি চলছে সবুজ আবির খেলা। নির্বাচনী প্রচারে নেমে মধুপর্ণা জানিয়েছিলেন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি গড় হিসেবে উঠে আসা বনগাঁয় তিনি ঘাস ফুল ফোটাবেন। তিনি এবার হলেন বাংলার বিধানসভার সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক।
এই প্রথমবার রায়গঞ্জ বিধানসভা দখল করে নিল তৃণমূল কংগ্রেস৷ ১৯৯৮ সালে তৃণমূল তৈরি হওয়ার পর তো বটেই, ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পরেও রায়গঞ্জে জিততে পারেনি শাসকদল৷ উপনির্বাচনে রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ৪৯ হাজারেরও বেশি ভোটে জয়ী হলেন তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণ৷ লোকসভা নির্বাচনে এই রায়গঞ্জ কেন্দ্র থেকেই তৃণমূলের টিকিটে লড়ে পরাজিত হন কৃষ্ণ কল্যাণী৷
রানাঘাটেও জয়ী তৃণমূল। রানাঘাট দক্ষিণ আসনে জয়ী হলেন তৃণমূলের প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী। গণনার শুরু থেকেই এগিয়ে যান তৃণমূলের মুকুটমণি। টানটান উত্তেজনা ছিল গণনা কেন্দ্রে। জয়ের পর মুকুটমণি বলেন, ‘‘বিজেপি মানুষের খবর রাখে না। পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মানুষের কথা বিজেপি ভাবে না। এটা মানুষ বুঝে গিয়েছে। মানুষের এই ভাবনারই প্রতিফলন ঘটল আজকের ফলে। আমি খুশি। মানুষের আস্থাকে সম্মান জানাতে আমি তৈরি।”২০১১ সালে রানাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু তারপর থেকে এই আসনে জয় অধরাই থেকে যাচ্ছিল। ২০১৬ ও ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে ঘাসফুল ফোটেনি রানাঘাট(দক্ষিণ) কেন্দ্রে। লোকসভা ভোটেও তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। লোকসভায় জিততে না পারলেও বিধানসভায় জয়ী হলেন।