Breaking News

তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে রণক্ষেত্র খানাকুল!দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বে ফাটল মহিলা সভাপতির মাথা

প্রসেনজিৎ ধর,হুগলি:- পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড মিটিংকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা হুগলির খানাকুলে। সোমবার মিটিং চলাকালীন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির। যার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। এমনকী চলল বোমাবাজি। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠি উঁচিয়ে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের তাড়া পুলিশের।অভিযোগ, এদিন পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড মিটিংয়ে এক মহিলাকেও চেয়ার উঁচিয়ে মারধর করা হয়। পঞ্চায়েতে সমিতিতে ঢুকতে গেলে বের করে দেওয়া হয় তৃণমূলের ব্লক সভাপতি দীপেন মাইতিকে। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি চরমে ওঠে ৷এলাকা সূত্রে খবর, খানাকুল ১ পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ডগঠন তৃণমূল করার পর থেকেই পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নইমুল হক ওরফে রাঙা গোষ্ঠীর সঙ্গে খানাকুল ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি দিপেন মাইতি গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়।এইসময় দিপেন অনুগামী বেশকয়েকজন কর্মাধ্যক্ষ ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য পদত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশ করে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শম্পা মাইতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। পরিস্থিতিকে ঘিরে পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী কমিটি ভেঙে যাওয়ার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী কমিটি টিকিয়ে রেখে পঞ্চায়েত সমিতিতে নিজের একাধিপত্য ধরে রাখতে মরিয়া নইমুল হক ওরফে রাঙা। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে এদিন খানাকুল ১ পঞ্চায়েত সমিতি র মিটিং হলে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সম্পা মাইতির মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এদিকে পঞ্চায়েত সমিতির বাইরে দুই গোষ্ঠীর কয়েকশো লোক জমায়েত হয়। এদিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে বিশাল পুলিশ ও র‍্যাফের বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল পঞ্চায়েত সমিতির অফিস চত্বরে। বার বার উত্তেজনা সামাল দিতে বেগ পেতে হয় পুলিশকেও |

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *