দেবরীনা মণ্ডল সাহা:- মালগাড়ির চালকের ভুলে নয়, ট্রেন পরিচালনার পদ্ধতিগত কারণেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা নিয়ে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য সুরক্ষা কমিশনার (চিফ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি) জনককুমার গর্গ রেল বোর্ডের কাছে প্রাথমিক যে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন, তার ছত্রে ছত্রে এই ইঙ্গিত রয়েছে। একই সঙ্গে তিনি স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছেন, ট্রেন পরিচালন ব্যবস্থায় গলদ থাকার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।১৭ জুন ভয়াবহ দুর্ঘটনা, উত্তরবঙ্গে মৃত্যুর মুখে পড়েছিলেন ১১ জন। প্রায় মাসখানেক পর কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের সেই দুর্ঘটনায় রিপোর্ট জমা পড়ল। কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির রিপোর্টে একাধিক গাফিলতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য চালক, স্টেশন মাস্টারদের যথাযথ প্রশিক্ষণের অভাব। ট্রেন অপারেশনেও একাধিক ত্রুটি ছিল। পাশাপাশি যত দ্রুত সম্ভব, দুর্ঘটনা এড়াতে অটোমেটিক সিস্টেম চালু করার পক্ষে প্রস্তাব করা হয়েছে রেলওয়ে সেফটি কমিশনারের তরফে।সূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট রিপোর্টে জানানো হয়েছে, চালকের দোষে নয়, ট্রেন অপারেশন কাজের গাফিলতির জন্য দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সঠিক মেমু না দেওয়া, সিগন্যালিং ব্যবস্থায় ধারাবাহিক ত্রুটি, এমনকী চালক ও সহকারি চালকদের সঠিক প্রশিক্ষণ না থাকার জন্যই উত্তরবঙ্গে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটে যায়।দুর্ঘটনার পরই চালকের ঘাড়ে দোষ দিয়েছিল রেলবোর্ড। ঘটনায় এক যাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে মালগাড়ির দুই চালকের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের ধারা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে রেল পুলিশের বিশেষ দল। কিন্তু কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, যোগাযোগ রাখার জন্য চালকদের কাছে ওয়াকি টকির মতো গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র পর্যন্ত ছিল না। কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি রিপোর্টের দাবি, ওই সেকশনে ট্রেনের স্পিড লিমিট নির্দিষ্ট করে বলা ছিল না। ঘটনাটিতে রাঙাপানির স্টেশন মাস্টারকে সাসপেন্ডও করা হয়। দুর্ঘটনার পর ১৯ জুন ক্লোজ করা হয়েছিল তাঁকে । সম্প্রতি তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। তার আগে আরও তিনজনকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল।