দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- সরকার ও আলু ব্যবসায়ীদের টানাপোড়েনে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির দিন সমাগত। সরকার ভিনরাজ্যে আলু রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় পালটা সোমবার থেকে ধর্মঘট শুরু করেছেন আলু কারবারিরার। তার জেরে সোমবার থেকে বাড়তে শুরু করেছে আলুর দাম। সরকার দ্রুত পদক্ষেপ না করলে কয়েক দিনের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।হিমঘর খোলা। কিন্তু আলু বেরোচ্ছে না! ব্যবসায়ীদের ডাকা কর্মবিরতির জেরে আবার বাজারে আলুর দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। জোগান না বাড়লে মঙ্গলবার থেকেই অগ্নিমূল্য হতে পারে আলু। প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাজ্যের প্রায় ৮০ হাজার আলু ব্যবসায়ী কর্মবিরতিতে শামিল হয়েছেন। ২০১৪ সালে এ রকম হয়েছিল। ভিন্রাজ্যে আলু যাওয়া আটকানো হয়েছিল। তবে এ বার নির্দেশ নেই। কিন্তু পুলিশি হয়রানি হচ্ছে রাজ্যের সীমান্তগুলিতে। মুখ্যমন্ত্রী বাইরে পাঠাতে বারণ করেননি। উনি নজরদারি করতে বলেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর মিটিংয়ের পর থেকে আলুর দাম অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আছে। নিয়ন্ত্রণে থাকার পরেও যদি বাইরে আলু যাওয়া আটকানো হয়, তা হলে ব্যবসা করব কী করে।’’ ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, এ রকম আলুও থাকে, যেগুলি এ রাজ্যে বিক্রি হয় না। বিক্রি হয় বাইরের রাজ্যে। তা-ও আটকে দেওয়া হচ্ছে। আলু ব্যবসায়ী সমিতির শালবনি শাখার সভাপতি নবকুমার ভুঁইয়া বলেন,”আজ থেকে স্টোরে ধর্মঘট শুরু হয়েছে। আলু বার হয়নি হিমঘর থেকে।” ব্যবসায়ীদের তরফে জানানো হয়েছে, আলুর দাম নিয়ন্ত্রণের নামে সরকারি উদ্যোগে ব্যবসায়ীদের ওপর নির্যাতন শুরু হয়েছে। যখন তখন অভিযানের নামে হেনস্থা করা হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। হিমঘরে ঢুকে পড়ছেন টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা। আলুর দাম গোটা দেশে চাহিদার নিরিখে নিয়ন্ত্রিত হয়। এতে স্থানীয়ভাবে ব্যবসায়ীদের তেমন কিছু করার থাকে না।তবে আলু ব্যবসায়ীদের একাংশের মতে ধর্মঘটে তাদেরই ক্ষতি। কারণ মজুত আলু পরে বাজারে ছাড়তেই হবে। তখন দাম ধাক্কা খাবে। মন্ত্রী বেচারাম মান্না জানিয়েছেন, ‘আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার বদ্ধপরিকর। আলু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনার রাস্তা খোলার চেষ্টা চলছে।’