Breaking News

এ রাজ্যে সংখ্যালঘু ভোট বাক্সে পাল্লা ভারী তৃণমূলের,বিজেপির ট্র্যাক রেকর্ডই কি তার কারণ?

প্রসেনজিৎ ধর:- সামনেই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন। এদিকে আটঘাট বেঁধে প্রায় প্রত্যেক দলই নিজের প্রস্তুতিতে মেতে উঠেছে। বাংলাতে প্রায় তিরিশ শতাংশ মুসলিম ভোট আছে, অন্যদিকে ফেলে আসা নির্বাচনের দিকে তাকালে বোঝা যাবে মুসলিমদের বেশিরভাগ ভোটই কিন্তু তৃণমূলের ঝুলিতেই গেছে। ২০১১ সালে মমতার সরকার আসার পরে মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণ , মাদ্রাসাগুলিকে অনুদান, ইমাম ভাতা , ওয়াকাফ বোর্ড এর সম্পত্তি রক্ষা করা এবং সর্বশেষে মুসলিমদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন এর কাজ প্রায় সবই করেছে। অন্যদিকে বিজেপি সরকার আসার পর গোটা দেশে মুসলিমদের উপর নানা জায়গায় যে জুলুম দেখা গেছে সেটা কিন্তু বাংলাতে হইনি বলে মত রাজনৈতিক মহলের | বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির অভিযোগ বিজেপি আশ্রিত জেলার রাজ্যগুলিতে জুলুম হয়েছে | তার জলজ্যান্ত প্রমাণ হল হাতরাসের ঘটনা| এমনকি মধ্যপ্রদেশের এক বিজেপি নেতার ছেলের আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার ঘটনাও তার প্রমাণ | রাজনৈতিক মহলের ধারণা এক কথায় এখানকার মুসলিমরা এই সরকারের আমলে অনেক বেশি সুরক্ষিত ও শান্তিতে আছে।

বিজেপি যতই চেষ্টা করুক সংখ্যালঘু ভোট তারা যে পাবে না তারা তা জানে এবং সেই জন্য বিজেপি এখন চাইছে মিম যদি বিহারের ভোটের মতো এই সংখ্যালঘু ভোটে ভাগ বসাতে পারে তবেই তাঁদের লাভ। কারণ সংখ্যালঘু ভোট ভাগ হলে সেটা তৃণমূলের ভোটে ভাগ বসাবে। এখন এটাই দেখার যে তৃণমূল সরকার তাঁদের ভোট ধরে রাখতে পারে কিনা। বিহার আর বাংলা দুটি আলাদা ক্ষেত্র , বিহারে হিন্দী ভাষী মুসলিম ছিলো তাই মিম সুবিধা করতে পেরেছিল কিন্তু বাংলাতে অধিকাংশ বাঙালি মুসলিম , তাই এখানে মিম কতোটা প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। বলা যেতে পারে এই ক্ষেত্রে তৃণমূলের দিকেই পাল্লা ভারী।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *