দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- টানা বৃষ্টিতে বাড়ছে নদীর জলস্তর। এর পাশাপাশি জল ছাড়া শুরু করে দিল ডিভিসি। দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে ইতিমধ্যে ৭০ হাজার কিউসেক জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। দুই জলাধার থেকে মোট ৪৮ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। মাইথন জলাধার থেকে ১২ হাজার ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে ৩৬ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে ডিভিসি। জল ছাড়ার ফলে একাধিক নদীর জলস্তর বাড়ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে ডুবতে পারে হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমানের নিচু এলাকাগুলি। শনিবার বৃষ্টি কিছুটা কমেছে দক্ষিণবঙ্গে। তাই ডিভিসি জল ছাড়লেও আপাত ভাবে কিছুটা স্বস্তি রয়েছে দক্ষিণের জেলাগুলিতে। তবে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। ডিভিসি আরও জল ছাড়লে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা একাধিক জেলায়। ডিভিসির জল ছাড়া নিয়ে আগেও ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কার্যত বন্যা পরিস্থিতি একাধিক জেলায়। এই পরিস্থিতিতে জেলাশাসকদের ছুটি বাতিল করার নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব। সতর্ক থাকতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন নবান্ন। শনিবার দুপুরে জেলাশাসকদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকে মুখ্যসচিব।জেলাস্তরের পাশাপাশি মহকুমা স্তরেও কন্ট্রোল রুম চালু করতে নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছ। ত্রাণ সামগ্রী এবং অন্যান্য জরুরি ব্যবস্থা প্রস্তুত রাখারও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। শুক্রবার সারা রাত বৃষ্টি হয়েছে কলকাতা-সহ একাধিক জেলায়। শনিবারও সকাল থেকেই বৃষ্টি। কলকাতা বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গারে জল জমে গিয়েছে। এক টানা বর্ষণে কলকাতা সংলগ্ন পাতিপুকুর আন্ডার পাসে চেনা ছবি। শনিবার সকালে একটি লেন থেকে উভয়মুখী যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করছে লেকটাউন ট্রাফিক এবং কলকাতা পুলিশ। পাতিপুকুর আন্ডার পাশে বুক সমান জল জমে রয়েছে। যার জেরে যানবাহন চলাচল বিপর্যস্ত।তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘মনুষ্যসৃষ্ট বন্যা তৈরি করতে আবার ডিভিসি জল ছাড়ল। গ্রীষ্মের সময়ে কৃষি বা সেচে জল চাইলে দেয় না। ঝাড়খণ্ডে বর্ষায় জল বাড়ে, তখন জল ছেড়ে বাংলার বিপদ বৃদ্ধি করে। আগামী পরশু আবার অমাবস্যার ভরা কোটাল রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন।’’