Breaking News

শিশুদের জন্য রান্না করা খিচুড়িতে এবার মিলল বিছে!অভিভাবকদের বিক্ষোভে উত্তাল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র

প্রসেনজিৎ ধর :-শিশুদের পুষ্টির কথা ভেবে মিড ডে মিলে বরাদ্দ ২-৩ হাতা খিচুড়ি ও ডিমসিদ্ধ। সেই খিচুড়ি নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই। শিশুদের জন্য রান্না করা খিচুড়িতে এবার মিলল বিছে। চাল-ডালের সঙ্গে সিদ্ধ হয়েছে বিছেটি। সেই খিচুড়ি বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন অনেকেই। টিফিন ক্যারিয়ার খুলতেই চক্ষুচড়কগাছ অবস্থা। ঘটনাটি গাইঘাটার পূর্ব চক্র ডিঙ্গামানিক আইসিডিএস সেন্টারের।ততক্ষণে অনেক শিশুই খেয়ে ফেলছে সেই খিচুড়ি। ঘটনা জানাজানি হতেই আতঙ্ক ছড়ানো পাশাপাশি ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন অভিভাবকরা। সুপারভাইজারকে ঘিরে চলে বিক্ষোভ। জানা যায়, আইসিডিএস সেন্টারে পড়ুয়ার সংখ্যা ৬৩ জন। সেন্টারের জন্য না আছে নিজস্ব ভবন, না আছে রান্নাঘর। স্থানীয় ডিঙ্গামানিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলে আইসিডিএস সেন্টারের পঠনপাঠন। অন্যদিকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চলে রান্না। তাই নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে ছিল চাপা ক্ষোভ। এদিনের ঘটনায় সেই ক্ষোভের আগুনে যেন ঘি পড়ল। অভিযোগ, আইসিডিএস সেন্টারের জন্য টাকা বরাদ্দের পরেও তৈরি হয়নি নিজস্ব ভবন।যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আইসিডিএস সেন্টারের রাঁধুনি। অন্যদিকে ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সেদিকে নজর থাকবে। আশ্বাস বিডিওর। একই সঙ্গে শিশুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্লক আধিকারিক| এ বিষয়ে রাঁধুনি নিহার নিশা মণ্ডল জানিয়েছেন, তিনি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে রান্না করেছিলেন। কীভাবে এই বিষাক্ত বিছে খাবার এল সেটা তার জানা নেই। প্রসঙ্গত, এই আইসিডিএস সেন্টারে ৬৩ জন শিশু রয়েছে । তাদের বসবার কোনও জায়গা নেই। তাবু খাটিয়ে তার নিচে রান্না হয়। অভিযোগ সেন্টারের জন্য টাকা অনুমোদন হলেও কোন এক অজানা কারণে সেই কাজ হচ্ছে না বলেই অভিযোগ। বাসিন্দাদের দাবি অবিলম্বে আইসিডিএস সেন্টারের ভবন নির্মাণ করা হোক।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *