Breaking News

বাংলাদেশ নিয়ে কী অবস্থান ভারতের!বিবৃতি দিয়ে জানালেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর,বাংলাদেশে আটকে ১৯ হাজার ভারতীয়

নিজস্ব সংবাদদাতা :- বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিকে সামনে রেখে কেন্দ্রের তরফে রাজ্যসভায় বিবৃতি দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি জানান, বাংলাদেশের সদ্য পদত্যাগ করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মুহূর্তে ভারতেই আছেন। জয়শঙ্করের তাঁর বিবৃতিতে বলেন,“খুব অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের কাছে হাসিনা আবেদন করেন এ দেশে আসার জন্য। অস্থির পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের নানা প্রান্তে আক্রান্ত হচ্ছেন সংখ্যালঘুরা। আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি।”। প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়তে হয়েছে শেখ হাসিনাকে। আপাতত ভারতেই রয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর কোথায় যাবেন তিনি, তা নিয়ে যথেষ্ট ধোঁয়াশা রয়েছে। এই ডামাডোল পরিস্থিতিতেই আজ, মঙ্গলবার সর্বদলীয় বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই বৈঠকেই উপস্থিত সাংসদদের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বললেন, “পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা ভাবনা চিন্তার জন্য শেখ হাসিনার কিছুটা সময়ের প্রয়োজন। সরকার শেখ হাসিনাকে কিছু সময় দিতে চায়।”
সোমবার রাতে শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল।এরপরই দফায় দফায় বৈঠক শুরু হয় নয়া দিল্লিতে। মঙ্গলবার সকালেও সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের অবস্থান কী, কী ভাবছে ভারত, সেই বিষয়েই সংসদে বিবৃতি দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।বিদেশমন্ত্রী বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত ভাল। সব সরকারের আমলেই সেই সম্পর্ক অটুট থেকেছে। তিনি উল্লেখ করেন, ২০২৪-এ বাংলাদেশে যে নির্বাচন হয়, সেই সময় থেকেই একটা অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে বেড়েছে মেরুকরণ।”

জয়শঙ্কর উল্লেখ করেন, গত জুন মাসে শুরু হয় ছাত্র আন্দোলন। ক্রমশ হিংসাত্মক ঘটনা বাড়তে থাকে। সরকারি সম্পত্তিতে হামলা চলে, বাস ও রেল পরিষেবার ক্ষেত্রেও ব্যাপক প্রভাব পড়ে। জুলাই জুড়েও চলে সেই সংঘর্ষ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বারবার চেয়েছি কথাবার্তার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসুক।’বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর তাঁর বিবৃতিতে আরও জানান, “আমরা গোটা পরিস্থিতির উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছি। কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা চলছে। প্রায় ১৯ হাজার ভারতীয় রয়েছেন বাংলাদেশে। যার মধ্যে ৯ হাজার পড়ুয়া রয়েছেন। তাঁদের দ্রুত ফেরানো নিয়ে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। জুলাই মাসেই বেশ কয়েকজন দেশে ফিরেছেন। বাংলাদেশে আক্রান্ত হচ্ছেন সংখ্যালঘুরা। এই বিষয়টিও আমরা গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছি। বহু গোষ্ঠী, সংগঠন সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার দিকটি নিশ্চিত করছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। সেখানে আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আমরা গভীরভাবে উদ্বেগে থাকব। গত ২৪ ঘণ্টা ধরে আমরা ঢাকার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।”

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *