প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি, দেহ লোপাট সহ একাধিক অভিযোগে ইডির তদন্ত চেয়ে মামলার দায়ের করলেন আর জি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি হবে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের এজলাসে। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে আদালত। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে সন্দীপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিলেন আর জি করের তদানীন্তন ডেপুটি সুপার এবং অধুনা বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজের ডেপুটি সুপার আখতার আলি। তাঁর দাবি, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তিনটি প্রধান দুর্নীতি ছিল: বায়ো মেডিক্যাল দুর্নীতি, ছাত্র-ছাত্রীদের ফেল করানোর ভয় দেখিয়ে অর্থ নেওয়া এবং অ্যাকাডেমিক ফান্ডের টাকার নয়ছয়। এই সমস্ত দুর্নীতি পরিচালিত হতো সন্দীপ ঘোষের নেতৃত্বে।আখতার আলি এদিন হাইকোর্টে বলেন, ‘সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে অ্যান্টি কোরাপশনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলাম। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল কেস করার জন্য এফআইআর করেছি। বায়োমেডিক্যাল স্ক্যাম করেছেন, মৃতদেহ নিয়ে দুর্নীতি করেছেন ৷ ছাত্রদের পাশ করানোর জন্য টাকা নিতেন। ডেডবডি ওয়ার্কশপের জন্য দিয়ে দিতেন। একাধিক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত করা হয়নি।’ আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ছাত্রীকে খুন ও ধর্ষণের ঘটনার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে যাওয়ার পরেই প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডাক্তার সন্দীপ ঘোষকে লাগাতার জেরা শুরু করেন কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সির গোয়েন্দারা। তারপরেই সামনে আসে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ। আর্থিক তছরুপ, ওষুধ, মেডিক্যাল সরঞ্জামের কালোবাজারির মতো গুরুতর অভিযোগও উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এইসমস্ত অভিযোগের তদন্তে সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে সিট গঠন করেছে রাজ্য সরকার। আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার বলেন, “প্রথমদিন থেকে ওঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। একসময় ছাত্ররা ওঁর বিরুদ্ধে ভুক হরতালও করেছিল। টাকা নিয়ে উনি পাশ করাতেন। টাকা না দিলে খারাপ কেসে ফাঁসিয়ে দিতেন। হুমকি দিতেন। ওঁকে সাসপেন্ড করে দ্রুত হেফাজতে নেওয়া দরকার।”