Breaking News

চুঁচুড়া পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা দলের কাউন্সিলরদেরই!শাসক দলের দ্বন্দ্ব প্রকট

প্রসেনজিৎ ধর, হুগলি :- হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান অমিত রায়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেন তৃনমূল কাউন্সিলরদের একাংশ।পুর শ্রমিকদের বেতন সময়ে না দেওয়া, শহরের রাস্তাঘাট ঠিক মতো মেরামত না হওয়া, নাগরিক পরিষেবা ঠিক মতো না দিতে পারার অভিযোগ উঠছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।এই সব অভিযোগ এনে সোমবার চুঁচুড়া মহকুমা শাসক স্মিতা সান্যাল শুক্লার কাছে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন তৃনমলের কয়েকজন কাউন্সিলর। পাশাপাশি চেয়ারম্যানকেও দেওয়া হয় চিঠি।যদিও চেয়ারম্যান অমিত রায় বলেন, “আমার কাছে চিঠি দিয়েছে আস্থা নেই বলে। পাঁচ বছর ধরেই একই ঘটনা ঘটিয়ে চলেছেন ওনারা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে প্রথম গিয়েছিলেন। যদিও তিনি এখন জেলে। এখন এখানে দিয়েছে। এভাবে তো অনাস্থা হয় না।” চেয়ারম্যানের বক্তব্য একজনের শিফ্ট বদল করে দেওয়ায় এত কিছু হচ্ছে। প্রসঙ্গত,২০২২ সালে পুরসভা ভোটের পর অমিত রায়কে চেয়ারম্যান করায় চুঁচুড়া পৌরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরদের একাংশ মেনে নিতে পারেনি। পূর্বতন চেয়ারম্যান গৌরীকান্ত মুখার্জিকে সরিয়ে অমিত রায়কে চেয়ারম্যান করে দল। বোর্ড মিটিং এ অশান্তি সমস্যা লেগেই থাকে। চুঁচুড়া পুরসভার ৩০টি ওয়ার্ড। তার মধ্যে ২৯টি তৃণমূলের দখলে রয়েছে। অভিযোগ, এলাকার বিধায়ক অসিত মজুমদারের গোষ্ঠীর সঙ্গে চেয়ারম্যান অমিত রায়ের গোষ্ঠীর খুব একটা মধুর সম্পর্ক নয়। বিধায়ক কর্মসূচি ডাকলে চেয়ারম্যান অনুপস্থিত থাকে। পাল্টা কর্মসূচি করে। এতে অনেক সময় দলকে অস্বস্তিতেও পড়তে হয়। চেয়ারম্যান অমিত রায় বলেন, “আমাদের ভোটাভুটি করে চেয়ারম্যান নির্বাচন হয়নি। তাই মুখ্যমন্ত্রী এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বললে আমি সরে যাব। অন্য কারও কথায় সরব না। এদের হয়ত কেউ টোপ দিয়েছে চেয়ারম্যান করবে। তাই এসব করছে। লাভ নেই কিছু। ”প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায় অবশ্য অনাস্থা আনার কথা সরাসরি স্বীকার করেননি। হুগলি চুঁচুড়া শহরের তৃণমূল সভাপতি সঞ্জীব মিত্রের বক্তব্য, পুরসভা পরিচালনা নিয়ে নিজেদের মধ্যে মতবিরোধ হচ্ছে। বিষয়টি রাজ্যস্তরে জানানো হবে বলেও জানান তিনি|

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *