দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :-নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। জুনিয়র চিকিৎসকেরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার চাইছেন। কিন্তু সরকার তাতে রাজি হয়নি। সে কথাই সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব এবং ডিজি। মনোজ পন্থ বলেন, “এই বৈঠকে জনগণের উদ্দেশে কিছু বলা হচ্ছে না। তাই লাইভ স্ট্রিমিংয়ের কোনও প্রশ্ন নেই। আমরা গোটা বৈঠক ভিডিও রেকর্ডিং করে রাখব। ওদের সেটা বারবার বলেছি। কিন্তু ওরা তাতে রাজি হচ্ছেন না।”বিকেল পাঁচটা থেকে এই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। সেই মতোই নবান্নের সভাঘরে অপেক্ষা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় দেড়ঘণ্টা সময় ছাত্রদের জন্য অপেক্ষা করেন তিনি। মুখ্যসচিব ও ডিজি বাইরে গিয়ে বারবার ডাক্তারি ছাত্রদের অনুরোধ করেন বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য। পরে মুখ্যসচিব সাংবাদিকদের জানান, একমাত্র বৈঠকেই এই অচলাবস্থা কাটতে পারে। তাই রাজ্য সরকার বারবার জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকে ডাকছেন। ওদের নিরাপত্তা নিয়ে যে সমস্ত অভিযোগ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। জুনিয়র ডাক্তারদের আরও কিছু প্রস্তাব রয়েছে কিনা তাও জানা যাবে। কিন্তু বৈঠক না হলে এর কোনওটাই সম্ভব নয়। তিরিশজন প্রতিনিধি নিয়েই এদিন বিকেলে নবান্নে পৌঁছয় জুনিয়র চিকিৎসকেরা |৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে স্বাস্থ্যভবনের সামনে অবস্থানে জুনিয়র ডাক্তারেরা। সোমবার থেকে দুপক্ষের মধ্যে চেলেছে ইমেল চালাচালি। অবশেষে, আজ নবান্নে বৈঠকে গেলেন জুনিয়ার ডাক্তারা। নবান্নের সভাঘরে এসে উপস্থিত হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়। আজেকর এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ। নবান্নের সামনে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান তুললেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের।কিঞ্জল নন্দ, অনিকেত মাহাতো, আরিফ আহমেদের নেতৃত্বে নবান্নে পৌঁছল জুনিয়র চিকিৎসকদের বাস। লাইভ স্ট্রিমিং না হলে বৈঠক নয়, সাফ জানালেন আন্দোলনকারীরা। বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিংয়ের দাবি এখনও মানল না রাজ্য। তাই নবান্ন সভাঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে জুনিয়র চিকিৎসকরা। জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা হাওড়ার পুলিশ কমিশনার ও এডিজি সাউথ বেঙ্গলের। তিরিশজন প্রতিনিধি নিয়েই নবান্নে যাবেন তা জানিয়ে দেন জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট। নবান্নের চিঠির উত্তরে জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ‘আমরা মনে করি যে সদর্থক বার্তা এসেছিল সেটাকে স্বাগত জানাচ্ছি। আমরা বৈঠকে যাব। যে পথে ছিলাম, সেই পথেই থাকব। ৩০ জন মিলে যাব। সরাসরি সম্প্রচার করতে হবে। তাঁদের কথায়, লাইভ সম্প্রচার মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর দেখানো পথ। সুপ্রিম কোর্টে লাইভ স্ট্রিমিং হয়, মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা লাইভ করা হয়, তাহলে সমস্যা কোথায়?’