প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিবাদ অব্যাহত। তিন দিন ধরে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের বৈঠকের সম্ভাবনা তৈরি হলেও শেষ পর্যন্ত আলোচনা বৃহস্পতিবারও হল না।ডাক্তারি ছাত্ররা বৈঠকে আসতে রাজি হওয়ার পর বিকেল পাঁচটাতেই সভাঘরে চলে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২ ঘণ্টা ১০ মিনিট অপেক্ষা করার পরও বৈঠকে এলেন না জুনিয়র ডাক্তাররা। এরপরই সাংবাদিকদের উদ্দেশে নবান্ন সভাঘর থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডাক্তার ভাই-বোনদের জন্য ২ ঘণ্টা ১০ মিনিট অপেক্ষা করেছি। তাঁরা এলেন না।’মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ডাক্তারদের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতি নিয়ে আলোচনায় রাজি ছিলাম। ৩৪ জন ডাক্তার এসেছিলেন, সবাইকে ঢুকতে অনুমতি দিয়েছিলাম। তার পরও তাঁরা লাইভ স্ট্রিমিং-এর দাবিতে অনড়। বিচারাধীন মামলার কারণেই লাইভ সম্প্রচারে সমস্যা আছে। আমরা বলেছিলাম, খোলা মনে আলোচনায় আসুন’। তিনি মনে করিয়ে দেন, সুপ্রিম কোর্ট লাইভ স্ট্রিমিং করতে পারে, সরকার পারে না। মমতা আরও বলেন, ‘ধৈর্য ধরাটাও একটা পরীক্ষা। ধৈর্য ধরব, কিন্তু কাজে যোগ দিন। আমি জানি অনেকেই মিটিংয়ে যোগ দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দু-তিনজন চাইছেন না। বাইরে থেকে ইন্সট্রাকশন আসছে। আমাদের হাতে এসমা আছে, সব আছে। কিন্তু আমরা এইগুলো করব না। আমরা মানবিক। আমি ২৬ দিন অনশন করেছিলাম সিঙ্গুর নিয়ে।’মুখ্যমন্ত্রী জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশে বলেন, ‘যারা নবান্নের গেট অবধি এসেও আলোচনায় বসলেন না, তাঁদের ক্ষমা করে দিলাম।’ উল্লেখ করেন, ডাক্তাররা ছোট, তাই তাদের ক্ষমা করে দিলেন তিনি। ২৭ জন বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন। সেই পরিসংখ্যান সামনে এনে মমতা বলেন, ‘কত জনের বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন সেই তথ্য সংগ্রহ করছি’।