প্রসেনজিৎ ধর :-উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হল সুপ্রিম কোর্টে। ১৪ হাজারের বেশি শূন্যপদে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। ওই নির্দেশ সংরক্ষণ নীতির বিরোধী, এই দাবি তুলে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজীব ব্রহ্ম-সহ কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী। চলতি সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে ১৪ হাজার চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগ নিয়ে আবার তৈরি হল জট।আগামী সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি হতে পারে বলে সূত্রের খবর।প্রায় ৮ বছর পর উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে কেটেছিল জট। ১৪ হাজার ৫২টি পদে নিয়োগে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিল হাইকোর্ট। মেধাতালিকা থেকে বাদ ১ হাজার ৪৬৩ যুক্ত করে নতুন মেধা তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাউন্সেলিং করে, সুপারিশপত্র দেবে এসএসসি এমনই নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।২০১৬ সালে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল। ২০২০ সালে সেই প্যানেল ত্রুটিপূর্ণ বলে বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ২০২৩ সালে হাইকোর্ট পরীক্ষার প্যানেল প্রকাশের অনুমতি দিলেও সুপারিশপত্র দেওয়ার অনুমতি দেয়নি। আদালতের নির্দেশে প্যানেল প্রকাশ করে SSC | কিন্তু দেখা যায় প্রথম প্যানেলে নাম থাকা ১,৪৬৩ জনের নাম দ্বিতীয় প্যানেলে বাদ পড়েছে। আদালতে SSC জানায় OMR পুনর্মূল্যায়ণে এদের নাম বাদ পড়েছে। গত ২৮ অগাস্ট এক রায়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ রায়ে জানায় এভাবে গোটা প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাওয়ার পর কারও নাম প্যানেল থেকে বাদ দেওয়া যায় না। একই সঙ্গে ৪ সপ্তাহের মধ্যে ১৪,০৫২ জনকে নিয়ে প্যানেল প্রকাশ করে সুপারিশ পত্র দিতে নির্দেশ দেন বিচারপতিরা। আদালতের এই রায়ে পুজোর মুখে রাজ্যে বেশ কিছু সরকারি চাকরির দরজা খুলে গিয়েছিল।কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজীব ব্রহ্মসহ বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। এই মামলার জেরে আপাতত আটকে গেল উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া।