দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- লাগাতার বৃষ্টির মধ্যেই ডিভিসির জল ছাড়ার জেরে বন্যা পরিস্থিতি রাজ্যে। ক্রমশ বাড়ছে উদ্বেগ। এই পরিস্থিতিতে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে একাধিক সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানালেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।আলাপন বলেন, ‘প্রবল বৃষ্টি কারণে দামোদর ভ্যালি এলাকায়, বিশেষ করে মাইথন পাঞ্চেত ও দূর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়া হচ্ছে। ফলে নিম্ম দামোদর এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গেরও বেশ কিছু জেলা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। নিচু এলাকা যাঁরা থাকেন, তাঁদের অন্যত্র সরিয়ে আসতে বলা হয়েছে’।নবান্নে সূত্রে খবর, এনডিআরএফ-এর আটটি টিম মোতায়েন করা হয়েছে ইতিমধ্যেই জেলায়। হুগলি, হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা মিলিয়ে ১৭ টি এসডিআরএফের টিম মোতায়েন করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত দু’জন মারা গিয়েছেন। ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত দুজন মারা গিয়েছেন। যার মধ্যে একজন দেওয়াল চাপা পড়ে, আরেকজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে।৭৯৫২ জন মানুষকে ইতিমধ্যেই ক্যাম্পে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে। ১৮০ টি ক্যাম্প চলছে রাজ্য জুড়ে। ৪৬ হাজার ত্রিপল বিলি করা হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় জেলায় কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। বীরভূমের কিছু অংশ, বাঁকুড়া, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম বর্ধমান– এই জেলাগুলিতে বন্যার মত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টি ও ডিভিসির জলাধার থেকে জল ছাড়ার ফলেই এই পরিস্থিতি বলে জানাল রাজ্য।
দক্ষিণবঙ্গে নজরদারির দায়িত্বে প্রধান সচিবরা:-
হাওড়া- রাজেশ পাণ্ডে
বীরভূম- রাজেশ সিনহা
পশ্চিম মেদিনীপুর -সুরেন্দ্র গুপ্তা
হুগলি- ওঙ্কার সিং মীনা
পুর্ব মেদিনীপুর -পারভেজ সিদ্দিকী
ঝাড়গ্রাম-সৌমিত্র মোহন
পশ্চিম বর্ধমান-সঞ্জয় বনসল
বাঁকুড়া-অবনীন্দ্র সিং
পুরুলিয়া – পি মোহন গান্ধী
পূর্ব বর্ধমান- পি উলগানাথন