নিজস্ব সংবাদদাতা :- আরজি কর কাণ্ডে দেরিতে এফআইআর করা, প্রমাণপত্র লোপাট করার চেষ্টার অভিযোগ উঠছে টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি আরজি কর কাণ্ডে খুন ও ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। মঙ্গলবার ওই মামলার শুনানিতে সন্দীপ ও অভিজিৎকে ৩ দিনের হেফাজতে চাইল সিবিআই। সেই আবেদন মঞ্জুর করলেন শিয়ালদহ আদালের বিচারক| কোর্টে সিবিআই-এর তরফে বলা হয়েছে আরজি কর কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত গণধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি। কিন্তু চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর ষড়যন্ত্র করেছেন সন্দীপ ঘোষ এবং টালার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। সিবিআই জানিয়েছে, ‘মোবাইল ফোনের কল রেকর্ডের ভিত্তিতে দু’জনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। টালা থানা থেকে সিসি ক্যামেরার যে হার্ডডিস্ক উদ্ধার করা হয়েছে, সেগুলো তদন্ত করে দেখা দরকার।’ শিয়ালদহ কোর্টের বিচারক জানতে চেয়েছেন, তাহলে কি ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় সরাসরি যুক্ত টালা থানার ওসি? এর উত্তরে সিবিআই জানিয়েছে, ‘দিল্লি থেকে কিছু রিপোর্ট আসা বাকি আছে। ধাপে ধাপে তদন্ত করা হচ্ছে। অভিজিৎ মণ্ডলকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে তারা বলেছে, ৯ অগস্ট রাতে সঞ্জয় কেন হাসপাতালে গিয়েছিলেন? কেউ কি তাঁকে ওই রাতে হাসপাতালে পাঠিয়েছিলেন? কেন বেশ কয়েকবার ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ারের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল ওসির? এসব প্রশ্নের উত্তর পেতেই টালার ওসিকে ফের নিজেদের হেফাজতে চেয়ে সওয়াল করে সিবিআই। প্রসঙ্গত,তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে শনিবার রাতে টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল এবং প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করে সিবিআই।আজ ফের সন্দীপ ঘোষ এবং টালার ওসিকে কোর্টে নিয়ে যাওয়ার সময় ক্ষোভ উগড়ে দেন সাধারণ মানুষ।