Breaking News

কলতান দাশগুপ্তের গ্রেফতারি নিয়ে হাইকোর্টের কড়া প্রশ্নের মুখে পুলিশ!রিপোর্ট পেশের নির্দেশ আদালতের

দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- ডিওয়াইএফআই নেতা কলতান দাশগুপ্তের গ্রেফতারি নিয়ে এবার প্রশ্ন কলকাতা হাইকোর্টের। বৃহস্পতিবার রাজ্যকে রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজর্ষী ভরদ্বাজ। আগামীকাল সকাল সাড়ে দশটায় পরবর্তী শুনানি। ”কেউ যদি আমাকে ফোন করেন এবং আমি যদি ফোন ধরি তাহলে যিনি ফোন করেছেন, তিনি তার যা ইচ্ছা বলতে পারেন। তার ওপর তো আমার কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। আমি তো ভয় পাচ্ছি, তাহলে কি কোনও অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসলে ধরতে পারব না?” রাজ্যকে প্রশ্ন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের।বিধাননগরের সেক্টর ফাইভে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে দাবি করে একটি অডিয়ো ক্লিপ প্রকাশ্যে আনেন এক তৃণমূল নেতা। সেই ক্লিপের সূত্রে ১৪ সেপ্টেম্বর সকালে DYFI নেতা তথা ছাত্র সংগ্রামের সম্পাদক কলতান দাশগুপ্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই ঘটনায় ১৩ সেপ্টেম্বর সঞ্জয় দাস নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছিল লালবাজার।কলতানের গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। সেই মামলায় বুধবার গ্রেফতার বাম নেতার হয়ে সওয়াল করেন বাম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। এদিন আদালতে বিকাশবাবু বলেন, যে পেন ড্রাইভের ভিত্তিতে পুলিশ কলতানের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করেছে তা কোথা থেকে এসেছে এখনও জানা যায়নি। তাছাড়া কলতানের গ্রেফতারি বেআইনি। তাঁর বিরুদ্ধে মাত্র ১টি জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। যার শাস্তির মেয়াদ ৩ বছরের কম। এক্ষেত্রে তাঁকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব কার যেত। তা না করে কলতানকে রাস্তা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিকাশবাবু বলেন, ফোনের অপরপ্রান্তে থাকা অপরিচিত ব্যক্তির বক্তব্যের ভিত্তিতে কি কাউকে গ্রেফতার করা যায়?একথা শুনে বিচারপতি ভরদ্বাজ বলেন, ‘এ তো ভয়ঙ্কর ব্যাপার। তাহলে কি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন এলে ধরব না? এভাবে তো যে কাউকে ফাঁসিয়ে দেওয়া যেতে পারে।’যদিও রাজ্যের তরফে যুক্তি দেওয়া হয়, ”সঞ্জীব দাস জেরায় কলতান দাশগুপ্তর নাম বলেন। দুজনের কল রেকর্ড থেকে খতিয়ে দেখা হয়। দেখা যায় সঞ্জীবের ফোন থেকে কলতানের ফোনে ফোন গিয়েছে। সঞ্জীবের বয়ানের ভিত্তিতে কলতানকে গ্রেফতার করা হয়।” যদিও কলতান দাশগুপ্তের আইনজীবী পাল্টা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, ”পুলিশ অন্য মামলায় জড়িয়ে দিতে পারে।” রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল পাল্টা বলেন, ”এই ধরনের সন্দেহ অমূলক। পুলিশ চাইলে আরও ১০০টা মামলায় জড়িয়ে দিতে পারে, সেটা কখনই হয় না। সাক্ষ্য গ্রহণের সময় দুজনেই জানায় যে তাদের মধ্যে কথা হয়েছে। দুটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তদন্তে কলতান সহযোগিতা করছেন না। মোবাইল আনলক করছেন না।”

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *