Breaking News

প্রকৃতির রুদ্ররূপে লণ্ডভণ্ড উত্তরবঙ্গ!দার্জিলিং, কালিম্পঙে শনিতে নতুন করে ধস! ভারী বৃষ্টির সতর্কতা, তিস্তার বাঁধ থেকে জল ছাড়ায় আতঙ্ক

প্রসেনজিৎ ধর :- দু’দিনের ভারী বৃষ্টিতে ভয়াবহ পরিস্থিতি উত্তরবঙ্গেও, নামছে ধস। বিপর্যস্ত যোগাযোগের পথ। তিস্তা-তোর্সার আশপাশের নিচু এলাকার বাসিন্দাদের ইতিমধ্যেই সতর্ক করেছে প্রশাসন। গ্যাংটকের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, গত তিন দিন ধরে সিকিমে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। ধসের কারণে রাং-রাং সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে মঙ্গল জেলা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। বিকল্প রাস্তা জোঙ্গুও বন্ধ। ফলে পরিস্থিতি আরও সঙ্কটময় হয়ে উঠেছে। আগামী দু’দিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির চূ়ান্ত সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। মঙ্গন, গ্যালসিং, পাকিয়ং, সোরেং, নামচি এবং গ্যাংটকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে এবং পাহাড়ে তুষাপাতের সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।সিকিম-সহ উত্তরের সমতলে চলছে লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে। শুক্রবার রাতে দ্রুত গতিতে জল বাড়তে থাকে তিস্তা নদীতে। তার মধ্যেই দফায় দফায় তিস্তা ব্যারাজ থেকে জল ছাড়তে হচ্ছে। আর তার জেরেই তিস্তা নদীর পারের জনপদে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তাই শুক্রবার রাত থেকেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে টাকিমারি, মালবাজার সাব ডিভিশনের বিভিন্ন এলাকা-সহ জলপাইগুড়ি পুরসভার ২ এবং ৩ নম্বর ওয়ার্ডের তিস্তা পারের বাসিন্দাদের সতর্ক করে মাইকে প্রচার করা হচ্ছে।অতি বৃষ্টির কারণে পাহাড়ের বহু এলাকা যেমন, কালিম্পংয়ের মেল্লি, দার্জিলিঙের চিত্রেতে ধস নেমেছে। রাস্তায় অবরুদ্ধ হয়ে আছে। নির্দেশিকা জারি করে কালিম্পং জেলা প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে আপাতত ১০ নং জাতীয় সড়ক বন্ধই থাকবে।অন্যদিকে, গরুবাথান থেকে লাভা হয়ে যে রাস্তা বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হয়, সেটাও খুব একটা ভাল অবস্থায় নেই। সেই রাস্তাও খুব দরকার না হলে ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শনিবার ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হয়ে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়িতে। ধস নামতে পারে আরও আরও একাধিক রাস্তায়। আশঙ্কা রয়েছে চাষের ক্ষতিরও।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *