প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- বাঁশদ্রোণীতে বিক্ষোভ বাড়ছে। দুপুর গড়িয়ে বিকেল| তারপরেও ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারেননি কাউন্সিলর অনিতা কর মজুমদার। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার প্রদীপ ঘোষাল।মহালয়ার সকালে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাঁশদ্রোণী। কারণ একটি জেসিবি পিষে দেয় এক স্কুল ছাত্রকে। সে কোচিং ক্লাসে টিউশনি পড়তে যাচ্ছিল। তখন একটি জেসিবি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই পড়ুয়াকে পিষে দেয়। ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। তারপর থেকেই আলোড়ন পড়ে যায় গোটা এলাকায়। এই ঘটনাকে ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড বেঁধে যায়। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। মারধরেরও অভিযোগ উঠেছে। ভাঙচুর করা হয়েছে জেসিবি। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর, বিধায়ককে আসতে হবে। তবেই বিক্ষোভ উঠবে। এই আবহে পাটুলি থানার ওসিকে কাদা জলে নামিয়ে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রাস্তার বেহাল দশা বোঝাতেই কাদায় নামানো হয় ওসিকে। ওসিকে ঘিরে বিক্ষোভ চললে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে ওসিকে উদ্ধার করে।স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ছাত্রমৃত্যুকে কেন্দ্র করে তাঁরা যখন বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন, সেই সময় একদল মানুষ তাঁদের উপর হামলা চালান। তাঁদের রাজনৈতিক পরিচয় স্পষ্ট করে কেউ জানাননি। তবে মহিলাদের উপরও হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। স্থানীয়েরা কেউ কেউ দাবি করছেন, মহিলাদের গায়ে হাত দেওয়া হয়েছে। এক বিক্ষোভকারী মহিলাকে রাস্তায় পড়ে থাকতেও দেখা যায়। এর পরেই এসিপিকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়।এর আগে পাটুলি থানার ওসিকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয় বাঁশদ্রোণীতে। তাঁকে কাদা জলে নামিয়ে দীর্ঘক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল। কয়েক ঘণ্টা পরে পুলিশের বিশাল বাহিনী গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। তারপর ঘটনাস্থলে যান কলকাতা পুলিশের ডিসি (দক্ষিণ শহরতলি) বিদিশা কলিতা দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, ‘‘জেসিবির চালক পালিয়ে গিয়েছেন। তাঁর খোঁজ চলছে। পুলিশকে যাঁরা আটকে রেখেছিলেন, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে।’’