দেবরীনা মণ্ডল সাহা:-রানাঘাটের
১১২ ফুটের দুর্গাপ্রতিমাকে ঘিরে দিনের পর দিন ধরে নানা টানাপোড়েন চলছে। এবার মহালয়ার সকালে অবশেষে পুজো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল রানাঘাটের কামালপুর অভিযান সংঘ। এই মামলা হাইকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। তারমধ্যেই মঙ্গলবার নদিয়ার জেলাশাসক এই পুজোর অনুমতি ফের বাতিল করেন। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, এই পুজো হলে ভিড়ে প্রাণহানির আশঙ্কা থেকে যাবে। তারপরই ১১২ ফুটের দুর্গাপুজো বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
ক্লাব কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, গ্রামবাসীর টাকায় এতদিন পুজোর আয়োজন করা হচ্ছিল। তবে হাইকোর্টে মামলা-মোকদ্দমায় অনেক টাকা খরচ হয়েছে। নতুন করে মামলা করার মতো সামর্থ্য তাঁদের নেই। সেজন্য মামলা প্রত্যাহার করে নেবেন হাইকোর্ট থেকে। পুজোর এক উদ্যোক্তা জানাচ্ছেন, আদালত থেকে জেলাশাসকের কাছে পাঠিয়েছিলেন আমাদের, যাতে বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করে দেখা হয়। এই পুজোর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল গোটা গ্রামটিকে মানুষের সামনে তুলে আনার। গ্রামের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটত এই পুজোর মাধ্যমে, তার কারণ গ্রামের ছেলে মেয়েরাই পুজোর কাজকর্ম সমস্ত কিছু করছিলেন। এখনও পর্যন্ত ৬০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে যার সমস্তটাই গ্রামবাসীদের টাকা। কিন্তু আদালতে যাওয়ার মতো গ্রামবাসীদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে আর টাকা নেই এমনকা চাঁদা দেওয়ার মত পরিস্থিতিটুকুও তাদের নেই।উল্লেখ্য রানাঘাটের ওই গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই কৃষক। তাদের পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা মূল সমস্যা বলে জানাচ্ছেন পুজোর কর্মকর্তারা। ইতিমধ্যেই পুজো করার জন্য বহু টাকা খরচা হয়ে গিয়েছে তাদের। শুধু টাকাই নয়, প্রায় ৪০ বিঘা চাষের জমি পুজো না করার জন্য ছেড়ে দিয়েছিলেন তারা। তবে এই মুহূর্তে আদালতে মামলা করার মত পর্যাপ্ত অর্থ তাদের কাছে নেই বলেই এ বছর ১১২ ফুটের দুর্গাপূজো করার থেকে পিছিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিলেন কর্মকর্তারা, এমনটা জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত। বৃহস্পতিবার ফের মামলার শুনানি হাইকোর্টে।