Breaking News

পুজোর আগেই ছাত্রছাত্রীদের জন্য সুখবর! এক মাস দেরিতে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার অর্থ নবান্নের

দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- পুজোর মুখে রাজ্য সরকারের ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের প্রায় ১৬ লক্ষ ছাত্রছাত্রীকে ট্যাব কিনতে জন্য টাকা দেবে রাজ্য সরকার। চলতি শিক্ষাবর্ষে যারা একাদশ শ্রেণীতে উঠেছেন, ও আগামী বছর যারা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবেন রাজ্য সরকার তাদের একাউন্টে ১০০০০ টাকা করে দেবে। শুক্রবার বিকেল থেকেই সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এই টাকা জমা পড়বে বলে বিদ্যালয় শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। পুজোর আগেই সকলের অ্যাকাউন্টে তা ঢুকে যাওয়ার কথা।করোনার পর ২০২১ সালে রাজ্য সরকার এই প্রকল্প চালু করে। প্রত্যেক বছর শিক্ষক দিবসের দিনে অর্থাৎ, ৫ সেপ্টেম্বর দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। এ বছর শুধু দ্বাদশ নয়, একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদেরও টাকা দেওয়া হচ্ছে। এই সিদ্ধান্তের কথা বিধানসভায় বাজেট পেশের সময়েই জানানো হয়েছিল। এ জন্য অতিরিক্ত ৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দও করেছিল অর্থ দফতর।ট্যাবলেট কেনার জন্য প্রতিবারই পড়ুয়াদের ১০ হাজার টাকা করে দেয় রাজ্য সরকার। ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে ট্যাবের টাকা দেওয়ার কথা ছিল রাজ্যের। ৩ সেপ্টেম্বর সাময়িকভাবে ট্যাবের টাকা দেওয়া স্থগিত রাখে রাজ্য সরকার | রাজ্যের সব জেলার ট্রেজ়ারির ৮৭টি অ্যাকাউন্টে মোট ১,৩৩৩ কোটি ৫৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা খরচের নির্দেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু একেবারে শেষ মুহূর্তে সেই পরিকল্পনা বাতিল করে শিক্ষা দফতর। সব ট্রেজ়ারিকে সে ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে কেন এই সিদ্ধান্ত বদল, তা স্পষ্ট করা হয়নি সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে। শুধু জানানো হয়, ‘প্রশাসনিক কারণে’ এই সিদ্ধান্ত। পরে সেই টাকা দেওয়া হবে কি না বা দিলে তা কবে, সে ব্যাপারে তখনও পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি।তবে কত দিনের জন্য পিছিয়েছে এবং কবে টাকা দেওয়া হবে সে ব্যাপারে তিনি কিছু জানাননি। শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা যায়, টাকা দেওয়া বাতিলের খবর প্রকাশের পরেই নতুন করে উদ্যোগী হয় শিক্ষা দফতর। ঠিক করা হয়, এক মাস পরে তা কার্যকর হবে। সেই মতোই এবার সে ভাবে কোনও ঘোষণা ছাড়াই শুরু হচ্ছে টাকা বিলি। শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজো শুরু হওয়ার আগেই যাতে সকলে টাকা পেয়ে যান সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *