দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের প্রতি সংহতির বার্তা দিতে কিছু দিন আগেই একাধিক সরকারি হাসপাতালের সিনিয়র ডাক্তারেরা ‘গণইস্তফা’-র সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু ‘গণইস্তফা’ সরকারের কাছে কোনও গ্রাহ্য পদত্যাগ নয়। শনিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে একথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “প্রতিটি ক্ষেত্রেই ‘গণইস্তফা’-র কথা উল্লেখ রয়েছে। সার্ভিস রুল অনুসারে, ইস্তফাপত্র অবশ্যই ব্যক্তিগতভাবে দিতে হয়। না হলে সেটি পদত্যাগপত্র নয়। এই ‘গণইস্তফা’ কোনও গ্রাহ্য পদত্যাগ নয়।নিরাপত্তা সংক্রান্ত ১০ দফা দাবিতে সরকারের উপর চাপ বাড়াতে আমরণ অনশনে জুনিয়র চিকিৎসকরা। উৎসবের মাঝে ধর্মতলার মঞ্চে এই মুহূর্তে ৮ জন জুনিয়র চিকিৎসক অনশন করছেন। চলতি সপ্তাহেই তাঁদের সমর্থনে আর জি কর, এসএসকেএম-সহ একাধিক হাসপাতালের চিকিৎসকরা গণইস্তফার পথে হেঁটেছেন। আগেই অবশ্য তাঁরা গণইস্তফার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরাও গণইস্তফা দিয়েছেন। সবমিলিয়ে এই সংখ্যা একশোর বেশি। তবে সকলেই জানিয়েছিলেন, সরকার তাঁদের ইস্তফা গ্রহণ না করা পর্যন্ত তাঁরা পরিষেবা চালিয়ে যাবেন। তাঁদের এই ইস্তফাপত্র সরকার গ্রহণ করছে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা।প্রশাসনিক মহলের একাংশের ব্যাখ্যা, শনিবারের সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে প্রকারান্তরে সিনিয়র ডাক্তারদের বার্তা দেওয়া হল— ইস্তফা দিতে চাইলে তা বৈধ ভাবে দিতে হবে, এবং তখন সরকার তা বিবেচনা করে দেখবে। প্রয়োজনে গ্রহণও করবে। নবান্ন মনে করছে, ‘গণইস্তফা’ দেওয়ার নামে সরকারের উপর রাজনৈতিক চাপ তৈরি করা হচ্ছে এবং সমাজমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।