দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- শক্তি বাড়িয়ে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে তার সম্ভাব্য ‘ল্যান্ডফল’ হতে পারে।এই মুহূর্তে বঙ্গোপোসাগরের উপর অবস্থিত দানা ক্রমশ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘণ্টায় ১২ কিমি বেগে ৷ মৌসম ভবন জানিয়েছে, ওড়িশার ভিতরকণিকা ও ধামরা বন্দরের মধ্যেবর্তী এলাকা দিয়ে আজ গভীর রাতে স্থলভাগে প্রবেশ করার কথা ঘূর্ণিঝড় দানা’র৷পূর্বাভাস অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটে থেকে শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টার মধ্যে ঢেউ উঠতে পারে ৯.৮৪ ফুট থেকে ১৪.৪৩ ফুট পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে উপকূল খালি রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নৌকা, ছোট ছোট জলযান নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যেতে বলেছে হাওয়া অফিস।আলিপুর থেকে শেষ প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, ‘দানা’ ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব, ধামারা থেকে ২১০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ থেকে ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ দিকে রয়েছে।ইতিমধ্যে ঝড়ের মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে রাজ্য। সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা থেকে সরানো হয়েছে কয়েক লক্ষ মানুষকে। তৈরি ব্লক প্রশাসন-সহ বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী এদিন ছিল মন্ত্রিসভার বৈঠক। সেই বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যখনই ঝড়ের ল্যান্ডফল হোক না কেন, আমরা তৈরি। কেউ কেউ বলছে ধামরার দিকে যাবে, এদিকে ততটা প্রভাব পড়বে না। তবে এটা ঠিক তথ্য নয়।”দুর্যোগ মোকাবিলায় খামতি যেন না থাকে, একথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে দামি মানুষের জীবন। রাতভর নবান্নে থেকেই সেটা পর্যবেক্ষণ করব।