নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা :- শনিবার রাতেও মূর্তিটা ছিল। কিন্তু রবিবার আর সেই মূর্তি নেই। শ্যামবাজার থেকে উধাও হয়ে গেল নির্যাতিতার প্রতীকী মূর্তি।বাম ছাত্র, যুব সংগঠনের তরফে এনিয়ে শ্যামপুকুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাদের দাবি, প্রতিবাদে ভয় পেয়েছে শাসকদল। তার জেরেই নির্যাতিতার মূর্তি চুরি করা হয়েছে। সরিয়ে ফেলা হয়েছে নির্যাতিতার মূর্তি। এটা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। বাম ছাত্র যুব সংগঠন এসএফআই, ডিওয়াইএফআইয়ের তরফে এনিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছিলেন বাম ছাত্র যুবরা। সেই সময় সেই ধরনামঞ্চের পাশেই প্রতীকী মূর্তি বসানো হয়েছিল। মূলত আরজি করের ঘটনার স্মরণেই সেই প্রতীকী মূর্তি বসানো হয়েছিল। তবে সেটা একেবারেই প্রতীকী ছিল। একটা মুখের অবয়বকে তৈরি করা হয়েছিল। অনেকটা দুর্গার আদলে দুখী এক কন্যার মুখাবয়ব। কিন্তু সেই মূর্তিই শনিবার রাতের পর থেকে আর দেখা যাচ্ছে না।বিষয়টি নিয়ে কলকাতা জেলার ডিওয়াইএফআই নেতৃত্বের অভিযোগ, আর জি কর ইস্যুতে আন্দোলনের ঝড় দেখে ভয় পেয়েছে শাসকরা। তাই মূর্তিই উধাও করে ফেলা হয়েছে। তবে যেভাবে মূর্তিটি ছিল, তা রাতারাতি চুরি করে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। পরিকল্পনা করেই অভয়ার প্রতীকী মূর্তি সরানো হয়েছে বলে অভিযোগ জেলা বাম নেতৃত্বের। শ্যামপুকুর থানা এই অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমেছে। যদিও বাম ছাত্র, যুবদের দাবি, মূর্তি অদৃশ্য করে প্রতিবাদে লাগাম পরানো যাবে না। তা যেমন তীব্রভাবে চলছিল, তেমনই চলবে। ডিওয়াইএফআই কলকাতা জেলা কমিটির সভাপতি বিকাশ ঝা ও জেলা সম্পাদক পৌলবী মজুমদার বলেন, “ওই অবয়ব মূর্তিটি যে ভাবে রাখা হয়েছিল, তা সহজে সরানো বা ভাঙা সম্ভব নয়| কারা অবয়ব মূর্তিটিকে কোথায় সরিয়েছে ?সেটি কোথায় আছে ? কেন সরেছে ?কীভাবে সরেছে ? এ লড়াই থামবে না । শেষ দেখে ছাড়তে হবে । নাটক ছেড়ে বিচার করো, আরজি করের মাথা ধরো । নির্যাতনের বিচার চাই । স্বৈরাচারের ক্ষমা নাই ।”