দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- টানা নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ | বেআইনি শব্দবাজি ও আতসবাজি রুখতে কড়া পুলিশ।পরিবেশকর্মীদের বক্তব্য, মঙ্গল-বুধে যে শব্দ পাওয়া গিয়েছে, তা যে সবুজ বাজির নয়, সেটা এক রকম নিশ্চিত। অথচ কলকাতা এবং রাজ্য জুড়েই বাজির তাণ্ডব রুখতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা পর্ষদের। আজ ও আগামিকাল সন্ধে ৬টা থেকে কন্ট্রোল রুম খুলছে তারা। যেখানে উপস্থিত থেকে যাবতীয় অভিযোগের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের তদারকিতে হাজির থাকবেন পর্ষদের কর্তারা। পাশাপাশি কলকাতা এবং লাগোয়া হাওড়া, বিধাননগর, দমদমের কোথায় বাজি বেশি ফাটে, পুলিশকে সে তালিকা পাঠিয়ে দিয়েছে পর্ষদ। এলাকাগুলিতে বাড়তি নজরদারির কথাও বলা হয়েছে। কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি চালিয়ে বুধবার রাত পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার কেজি নিষিদ্ধ বাজি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩৫ জনকে। পুলিশের এক কর্তা জানান, আবাসন ও অলিগলিতে বিশেষ টহলদারি চলবে। মোটরবাইকে ঘুরে বেড়াবেন পুলিশকর্মীরা। পাশাপাশি অটোরিকশাতেও চলবে নজরদারি। ২৭টি ওয়াচ টাওয়ার থেকে নজর রাখার পাশাপাশি ড্রোন উড়িয়েও পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবে পুলিশ। সব মিলিয়ে সাড়ে ৪ হাজার অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে শহর জুড়ে।দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সূত্রে খবর, গত ক’দিনে বেআইনি বাজি সংক্রান্ত ৮৮টি মামলা রুজু হয়েছে রাজ্য জুড়ে। সবুজ বাজি প্রসঙ্গে সচেতন করতে বিভিন্ন আবাসনের প্রতিনিধি থেকে শুরু করে ছাত্রছাত্রী ও পুলিশের সঙ্গেও একাধিক বৈঠক হয়েছে।ডিসি (এসডব্লুডি) রাহুল দে তাঁদের বোঝান যে, কেন বেআইনি আতসবাজি ও শব্দবাজি ফাটানো উচিৎ নয়। ওই বাজি কেন ক্ষতিকারক। পড়ুয়ারা যাতে নিজেরা এই ধরনের বাজি না কেনে বা ফাটায় ও অন্যদেরও এই কাজ করতে বারণ করে, সেই ব্যাপারেই তাঁদের সচেতন করা হয়। এ ছাড়াও বিভিন্ন আবাসনে গিয়ে বাসিন্দাদের মধ্যে নিষিদ্ধ বাজি যাতে কেউ না ফাটান, সেই ব্যাপারে পুলিশ আধিকারিকরা সচেতনতার প্রচার চালান।লালবাজারের সূত্র জানিয়েছে, কালীপুজো ও দীপাবলিতে সন্ধ্যা থেকে সীমিত সময়ের জন্য শুধু সবুজ বাজি ফাটানো যাবে। তার জন্য বহু আগে থেকেই আশপাশের অঞ্চল থেকে কলকাতার গোডাউনগুলিতে যাতে নিষিদ্ধ বাজি না প্রবেশ করতে পারে, সেদিকেই বিশেষ নজর রাখতে শুরু করে পুলিশ। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় ছিল নাকা চেকিং। তাতেই দেখা যায়, প্রয়োজনীয় সামগ্রীর আড়ালে হচ্ছে নিষিদ্ধ বাজি পাচার। আবার সবুজ বাজির আড়ালেও নিষিদ্ধ আতসবাজি ও শব্দবাজি পাচারের চেষ্টারও প্রমাণ পায় পুলিশ।