প্রসেনজিৎ ধর :-থানায় ধর্নায় বসলেন খোদ পুলিশ কর্মী। ওসি-র বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে নাদিয়াল থানার সামনে ধর্নায় বসলেন মহিলা এসআই। ব্যারাকের ঘর নিয়ে ওসির সঙ্গে ঝামেলা চলছিল। ঘর ছাড়ার নির্দেশ অমান্য করায় ওই মহিলা এসআই-কে ক্লোজ করা হয়েছে বলে খবর। পরে মহিলা অফিসারকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যারাকে ঘর-বণ্টনকে কেন্দ্র করে বুধবারই ওসির সঙ্গে একপ্রস্ত তর্কাতর্কি হয় সোমার। এ নিয়ে ওসি একটি রিপোর্টও পাঠান কলকাতা পুলিশের ডিসি (বন্দর)-এর কাছে। এর পরেও ওসির কোনও কথা শুনতে চাইছিলেন না মহিলা সাব ইনস্পেক্টর সোমা। শেষে নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগে বুধবারই তাঁকে ‘ক্লোজ়’ করা হয়।নাদিয়াল থানার সাব-ইনসপেক্টর সোমা তরফদার ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে শুরু করে লালবাজারে তাঁর অভিযোগ জানিয়েছেন। মূল বিষয় এই যে, থানার লাগোয়া একটি ব্যারাক রয়েছে। যে ব্যারাকে দীর্ঘদিন ধরে তিনি থাকতেন। ২৮-২৯ তারিখ নাগাদ ছুটিতে গিয়েছিলেন। ফিরে আসতেই সোমা দেখেন তাঁর ওই ব্যারাকের ঘরে বেশ কিছু নতুন বিছানা রাখা হয়েছে। অভিযোগ, এ ব্যাপারে থানার ওসিকে জিজ্ঞেস করা হলে জানানো হয়, বাকি মহিলা কনস্টেবলদের জন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর পরই থানার ওসির সঙ্গে বাদানুবাদ হয় এসআই সোমার। ওসির তরফে একটি রিপোর্ট ডিসির কাছে পাঠানো হয়। বলা হয়, গোটা ব্যাপারটা নিয়ে ওই মহিলা কনস্টেবল কোনও কথা শুনছেন না। অর্ডার অমান্য করছেন।
ডিসির তরফে রিপোর্ট আসার পর সোমা তরফদারকে ক্লোজ করে কলকাতা পুলিশের অন্য বিভাগে বদলি করে দেওয়া হয়। তার পরপরই থানার সামনে থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হলে রাজাবাগান থানা এলাকার একটি কাঠগোলার সামনে সাতটা থেকে ধর্নায় বসেন। এগারোটার পর অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারের নেতৃত্বে একটি বড় দল সেখানে গিয়ে সাব-ইনসপেক্টর সোমা তরফদারকে সরিয়ে গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যায়। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই থানার তরফে তাঁকে রিলিজ লেটার দিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও সোমা তরফদারের অভিযোগ, তাঁকে না জানিয়েই ব্যারাকের ঘর দখল করে নেওয়া হয়েছিল।