দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- ফের রোগীমৃত্যুতে ধুন্ধুমার সরকারি হাসপাতালে। একাধিক হাসপাতালে রোগী নিয়ে ঘোরে পরিবার। কোথাও খালি নেই একটা বেডও, এমনটাই অভিযোগ রোগীর পরিবারের। তারা সোজা পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি। সেখান থেকে সুপারিশপত্র লিখেই দৌড় লাগান এসএসকেএম-র উদ্দেশ্য। কিন্তু ততক্ষণে অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে। ৪৮ বছরের সুশীল কুমারকে এরপর হাসপাতালের চিকিত্সকরা দেখে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, ইমারজেন্সি থেকে আউটডোরের পথে ওই রোগীর মৃত্যু হয়। একে একে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয় রোগীকে। সেখান থেকেও মেলে একই উত্তর। এই করতে করতে সোমবার গোটা দিনটা কেটে যায়।
মঙ্গলবার সকালে রোগীকে অ্যাম্বুলেন্সে করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে পৌঁছে যান সুশীলবাবুর পরিজনরা। সেখান থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে রোগীকে ভর্তি নেওয়ার জন্য সুপারিশপত্র লিখে দেওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে। সেই সুপারিশপত্র নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছতে পৌঁছতে ক্রমশ অবস্থার অবনতি হতে থাকে সুশীলবাবু। এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছে একেবারে নিশ্তেজ হয়ে পড়েন তিনি। এরপর হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, এমারজেন্সি থেকে আউটডোরের পথে ওই রোগীর মৃত্যু হয়। রোগীর আত্মীয়দের আক্ষেপ, সোমবারই ভর্তি নিলে অকালে চলে যেতে হত না সুশীলবাবুকে |এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ফের প্রশ্নের মুখে পড়েছে হাসপাতালগুলোর ব্যবস্থাপনা। ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন রোগীর পরিবারের সদস্যরা। এ বিষয়ে চিকিৎসক সুর্বণ গোস্বামী বলেন, “দিনের পর দিন এই ঘটনা ঘটছে। এই সব সমস্যা দূর করতেই জুনিয়র চিকিৎসকরা বারবার সরব হয়েছেন।”