প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- ইকো পার্কে গড়ে উঠেছে ‘সোলার ডোম’ বা ‘সৌর গম্বুজ’। যা চারিদিকে জলের ধারা বইছে। ঠিক তার মাঝখানে রয়েছে বিশাল আকৃতির গম্বুজ। এই গম্বুজটিই সোলার প্যানেলে মোড়া রয়েছে। ইকো পার্কের ভিতরে সেটি গড়ে উঠেছে। কর্তৃপক্ষ এটার নামকরণ করেছে ‘সোলার ডোম’।শীতের মরশুমে পিকনিক করতে এসে এই ‘সোলার ডোম’ মানুষজন দেখতে পাবেন। তা নিয়ে চর্চাও হবে। আসলে বিদ্যুৎ খরচ বাঁচাতে এখন সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করার প্রতি সচেতন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বহু জায়গায় সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিকাঠামো তৈরি হয়েছে। সেখানে এই ‘সোলার ডোম’ একদিকে যেমন দেখতে আকর্ষণীয় অপরদিকে তেমন সচেতন করার কাজও হবে। ইকোপার্কে শীতের সময় বহু মানুষজন পিকনিক করতে ভিড় করেন। সেখানে এই ‘সোলার ডোম’ বাড়তি সংযোজন। প্রকৃতি তীর্থের অন্দরে ‘ধামসা’ ট্রাইবাল রেস্তোঁরা আছে। তার পাশেই ৮ তলা বাড়ির সমান ‘সোলার ডোম’ বিশেষ আকর্ষণ তৈরি করেছে। এবার সোলার ডোমটি খুলে দিচ্ছে পার্ক কর্তৃপক্ষ হিডকো।হিডকো সূত্রে খবর, বিশ্ব উষ্ণায়নের যুগে বিকল্প শক্তি ব্যবহারে পড়ুয়া ও পার্ক দর্শনার্থীদের হাতে-কলমে পাঠ দিতে ২০১৯ সাল থেকে সৌর গম্বুজটির তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। মূলত লোহার কাঠামো, কাঁচ, সোলার প্যানেল ইত্যাদিতে তৈরি গম্বুজটির প্রায় ছ’বছর ধরে কাজ চলেছে। সেটি জুড়ে প্রায় ২ হাজার সোলার প্যানেল রয়েছে। সেখান থেকে রোজই ১৮০ কিলোওয়াটের মতো বিদ্যুৎ উৎপাদন হওয়ার কথা। এই সৌর বিদ্যুত ব্যবহারে সোলার ডোমের ভিতরের আলো, পাখা, কম্পিউটার, লিফট-সহ পার্কের আলোও জ্বলবে। হিডকোর আধিকারিকদের মতে, আগামী প্রজন্মকে রক্ষা করতে গেলে দরকার বিকল্প শক্তির ব্যবহার।বর্তমানে বিশ্বের উন্নতশীল দেশগুলিতে সৌর, বায়ু, গোবর ইত্যাদি শক্তির প্রচলন অনেকটাই বেড়েছে। তাই এ রাজ্যে বিকল্প শক্তির ব্যবহার ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আমজনতার উৎসাহ বাড়াতে বিরাট আকারের সোলার ডোমটি তৈরি হয়েছে। দর্শনার্থীদের পাঠ দিতে ২০১৯ সাল থেকে ‘সোলার ডোম’ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। এটা গড়ে তুলতে ৬ বছর ধরে কাজ চলেছে। এখানে প্রায় দু’হাজার সোলার প্যানেল আছে। এখান থেকে রোজ ১৮০ কিলোওয়াটের মতো বিদ্যুৎ উৎপাদন হওয়ার কথা। আর তা ব্যবহারে সোলার ডোমের ভিতরের আলো, পাখা, কম্পিউটার, লিফট–সহ পার্কের আলোও জ্বলবে। আগামী প্রজন্মকে রক্ষা করতে গেলে এই বিকল্প শক্তির ব্যবহার প্রয়োজন। এই ‘সোলার ডোম’–এর ভিতরে থাকছে গ্যালারি, স্ক্রিন প্রজেক্টর, সেমিনার হল, প্ল্যানেটরিয়াম, মেরিন একোয়ারিয়াম, ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ পয়েন্ট–সহ অনেক কিছু।