প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- আগামী ১৩ নভেম্বর বাংলার ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে হবে উপনির্বাচন। আর এই উপনির্বাচনের প্রাক্কালে সিপিএমের উপর চাপ বাড়াল নকশাল দল সিপিআই (এমএল) লিবারেশন। কংগ্রেস, আইএসএফের সঙ্গে আগে জোট বেঁধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে বামফ্রন্টের বড় শরিক সিপিএম। তখন তা পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মেনে নিতে হয়েছিল বাকি শরিকদের। ইচ্ছে না থাকলেও মেনে নিতে হয়েছে তাঁদের। এবার সিপিআই (এমএল) লিবারেশনকে আঁকড়ে ধরেছে বামফ্রন্ট। তাই তো নৈহাটি বিধানসভা কেন্দ্রটি ছেড়ে দিয়েছে সিপিআই (এমএল) লিবারেশনকে। যা কিনা একদা সিপিএমের শক্তঘাঁটি ছিল।সেই পরিপ্রেক্ষিতেই সোমবার দলের রাজ্যদপ্তরে সাংবাদিক বৈঠকে লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদককে প্রশ্ন করা হয়, উপনির্বাচনে বামফ্রন্ট সমর্থন করছে তাদের প্রার্থীকে। তাহলে আগামী ছাব্বিশে রাজ্যের বিধানসভা ভোটে লিবারেশন কি বামফ্রন্টে যোগ দেবে। তার জবাবে দীপঙ্কর বলেন, ‘‘প্রশ্নটা ভবিষ্যতের উপর ছেড়ে দিতেই পারি। বৃহত্তর বাম ঐক্য দরকার, নতুন নাম (বামফ্রন্ট নয়) দরকার। নামটা বদলে অন্য করতে পারলে ভালো হয়।’’দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমাদের দল বামফ্রন্টে ছিল না। বাইরের একটা দল যখন ভিতরে আসে তখন বৃহত্তর ঐক্য, পরিবর্তিত অবস্থা দেখে একটা নতুন নামের দাবি রাখা হবে। এটা কোনও প্রেস্টিজ ইস্যু নয়।’লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য, ‘‘যে কেউ যা খুশি বলতে পারেন। বিজেপি একভাবে বলবে, তৃণমূল একভাবে বলবে। তবে যে আন্দোলন ছিল, সেটা অভুতপূর্ব। এই নাগরিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নতুন রাজনীতির ভাষা তৈরি করেছে। আমরা বাম ঐক্যের চেষ্টা আগেও করেছিলাম। এবার সঠিক প্রত্যুত্তর পাওয়া গিয়েছে। সিপিএম নেতৃত্ব যখন ঠিক করেছে দায়িত্ব নিয়েই করেছে। পশ্চিমবঙ্গে এই বোঝাপড়া নতুন।’’ বাম-অতিবামরা আর জি কর আন্দোলনে যেভাবে সক্রিয়ভাবে রয়েছে তা এদিন স্বীকার করে নিয়েই দীপঙ্কর বলেন, ‘‘সর্বশক্তি দিয়েই আমরা এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলাম। আমাদের সব ফ্রন্টের কর্মীরা এই আন্দোলনের মধ্যে আছে।’’