দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :-নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ শেষ হলেও এখনও দেখা নেই ঠান্ডার |হাওয়া অফিস জানিয়েছে, নভেম্বরের ১৪ তারিখ থেকে উত্তুরে হাওয়ার দাপট আরও বাড়তে পারে। উত্তরে হাওয়া, অর্থাৎ উত্তরের দিক থেকে প্রবাহিত হওয়া ঠাণ্ডা বাতাস শীতের মূল ধারক। সাধারণত, যখন উত্তরে হাওয়া শক্তিশালী হতে শুরু করে, তখনই তাপমাত্রা দ্রুত কমতে থাকে। চলতি বছরে ১৫ নভেম্বরের পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় উত্তরে হাওয়ার প্রবাহ বাড়বে বলে জানা যাচ্ছে, যা শীতের আবহ তৈরি করতে সাহায্য করবে।উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান সংলগ্ন এলাকায় ঘূর্ণাবর্ত পরিণত হবে নিম্নচাপে। এর প্রভাবে নভেম্বরের মাঝামাঝি কমবে তাপমাত্রা। শীতের আমেজ অনুভূত হবে রাজ্যজুড়ে। বইতে শুরু করবে উত্তুরে হাওয়া। আগামী ৭ দিন আবহাওয়া শুকনো থাকবে। রবিবার জগদ্ধাত্রী পুজোর নবমীতে উপকূলবর্তী ৩ জেলা ও উত্তরবঙ্গের দু’-একটি পার্বত্য় জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গেও মূলত শুষ্ক থাকবে আবহাওয়া। কাঞ্চনজঙ্ঘা রেঞ্জে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। তবে জলীয় বাষ্প থাকায় বাতাসে ধোঁয়াশার কিছুটা সৃষ্টি হবে।
দার্জিলিং, কালিম্পংয়ের পার্বত্য এলাকায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা খুব সামান্য। রবিবার থেকে পার্বত্য দুই জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। বাকি উত্তরবঙ্গের কোনও জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে সকালের দিকে নিচের জেলা মালদহ ও দুই দিনাজপুরে কুয়াশার সম্ভাবনা।আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে স্পষ্টত জানিয়ে দেওয়া হয়, ২১ নভেম্বর পর্যন্ত তাপমাত্রা পরিবর্তনের সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবে, ১৫ নভেম্বর থেকে রাজ্যে প্রবেশ করার সম্ভাবনা রয়েছে উত্তুরে হাওয়ার, যার হাত ধরেই বঙ্গে আসতে পারে শীত। তাই দিনের আবহাওয়ার খুব একটা পরিবর্তন না হলেও মাঝ নভেম্বর থেকে ভোরের এবং রাতের তাপমাত্রা হেরফের হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। যার জেরে, মাঝ নভেম্বর থেকে বঙ্গবাসী পেতে পারেন শীতের আমেজ।