Breaking News

সল্টলেকে পড়ুয়ার মৃত্যুতে পুলিশের ভূমিকা থেকে শুরু করে হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মৃত পড়ুয়ার মা!

দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- দুটি বাসের রেষারেষিতে বলি হয়েছিল এক স্কুল পড়ুয়া। মঙ্গলবার এই দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়েছিল সল্টলেক। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এবার হাসপাতালে ছেলের চিকিৎসা হয়নি বলে অভিযোগ করলেন মৃত স্কুল পড়ুয়ার মা।বাগুইআটির একটি বেসরকারি স্কুলে ছুটির পর দুই ছাত্রকে স্কুটিতে চাপিয়ে কলকাতার বাড়ির পথে ফিরছিলেন অভিভাবক। সেই সময় ২১৫ এ রুটের একটি বাস স্কুটিতে ধাক্কা মারে। তার জেরে মৃত্যু হয় পড়ুয়ার। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা থেকে শুরু করে হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মৃত পড়ুয়ার অভিভাবকরা। তাঁদের অভিযোগ, সাহায্যের জন্য পুলিশ এগিয়ে আসেনি। হাসপাতালেও চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যায়নি। তারফলেই মৃত্যুর কোলে ঢেলে পড়ে তাদের ছেলে। তাঁদের কথায়, প্রশাসন তৎপর হলে তাঁদের ছেলেকে বাঁচানো যেত।মৃত পড়ুয়া আয়ুশের মা জানান, তাঁর ছেলে বাগুইআটির একটি বেসরকারি স্কুলের মর্নিং সেকশনে পড়ত। সে বাড়ির ছোট ছেলে। বড় ছেলেও ওই স্কুলে পড়ে ডে সেকশনে। তিনি জানান, স্কুটারে করে আয়ুশ এবং ভাইঝিকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। রাস্তার এক ধার দিয়েই যাচ্ছিলেন। উল্টোডাঙার হাডকো মোড় সংলগ্ন সল্টলেকের দু’নম্বর গেটের কাছে আসতেই একটি বাস বেপরোয়া গতিতে পিছন দিক থেকে ধাক্কা মারে। ঘটনায় তিনজনই বাইক থেকে ছিটকে পড়ে যান। তাঁর ভাইঝির চোট সেরকম গুরুতর না হলেও আয়ুশ অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল। মৃতের মায়ের অভিযোগ, কাছাকাছি পুলিশ ছিল। তা সত্ত্বেও সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি পুলিশ। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় এক অটোচালক তাঁদের সাহায্যে এগিয়ে আসেন। তিনি তাদের নিয়ে গিয়ে উল্টোডাঙ্গার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করেন। প্রথমে সেখানে আয়ুশের মাথায় ব্যান্ডেজ করে অক্সিজেন দেওয়া হয়। কিন্তু, সেই নার্সিংহোমে আইসিইউ না থাকায় ফুলবাগানের বিসি রায় শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, সেই হাসপাতালে চিকিৎসকরা তাকে ভর্তি নিতে চাননি বলে অভিযোগ।শেষ পর্যন্ত বেলেঘাটার একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়ার পরে ছেলে মৃত্যুর হয়। মহিলার দাবি, হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাঁকে জানিয়েছিলেন এই ধরণের পরিকাঠামো সেখানে নেই। এমনকী পুলিশের কাছে সাহায্য চাইতে গেলে তাকে ভর্তি করানোর কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বরং পুলিশ তাঁদের জানিয়ে দেয় এই ঘটনা তাঁদের এলাকাভুক্ত নয়। নিহত স্কুল ছাত্রের মায়ের দাবি, ওই রাস্তায় প্রায় দুর্ঘটনা ঘটে। তবু কোনও স্পিড ব্রেকার নেই রাস্তায়। ট্রাফিক পুলিশও থাকে না।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *