দেবরীনা মণ্ডল সাহা,কলকাতা :- আরজি কর কাণ্ডের পর রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিল বিরোধীরা৷ কিন্তু ইভিএম খুলতেই দেখা গেল, আরজি কর কাণ্ড নিয়েই যতই রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হোক না কেন, তার কোনও প্রভাব শাসক দলকে চাপে ফেলতে পারল না৷ উল্টে ছটি কেন্দ্রের উপনির্বাচনেই একতরফা জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ বিজেপি-র থেকে মাদারিহাট কেন্দ্র ছিনিয়ে নিয়েছে তারা৷কোচবিহারের সিতাইয়ে ২০২১-এর ব্যবধানকে ছাপিয়ে গিয়ে ১ লক্ষ ৩০ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছেন তৃণমূল প্রার্থী৷ তালড্যাংরা, হাড়োয়া, নৈহাটি, মেদিনীপুর- কোনও জায়গাতেই ন্যূনতম প্রতিরোধ গড়তেও ব্যর্থ বিরোধীরা৷গত এক মাসে দেখা গিয়েছে, উপ নির্বাচন নিয়ে বাংলার রাজনীতিতে কোনও উন্মাদনাই তৈরি করতে পারেননি বিরোধীরা। না বিজেপি তা পেরেছে, না বামেরা তা পেরেছেন। কেননা যে ৬টি আসনে উপ নির্বাচন হয়েছে, সেখানে বিজেপি বা বামেদের সংগঠন বলে কোনও বস্তুই নেই। মাদারিহাট, সিতাই, মেদিনীপুর ও তালড্যাংরায় বিজেপির যাও কিছু সংগঠন রয়েছে। সিপিএমের তাও নেই। হাতেগোণা, নিষ্ঠাবান কিছু কট্টর বামপন্থী ভোট রয়েছে মাত্র। সেটুকুই পেয়েছেন বামেরা। তার বেশি একটা ভোটও হয়তো তাঁরা পাননি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি, আর জি কর আন্দোলনে স্বতঃস্ফূর্ততা থাকলেও তা একেবারে নগরকেন্দ্রিক। যার কোনও প্রভাব গ্রামাঞ্চলের মাটিতে পড়েনি। বরং লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বিনামূল্যে রেশন, কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো প্রকল্পের প্রত্যক্ষ সুবিধা পান তাঁরা। অন্যদিকে আন্দোলন শুধুমাত্র কলকাতা ও হাতেগোনা কিছু শহরের মধ্যে আবদ্ধ থেকে গিয়েছে। ফলে ভোটের বাক্সে আর জি কর আন্দোলনের কোনও প্রভাব নেই |