প্রসেনজিৎ ধর :- উপনির্বাচনে বিজেপির হাত থেকে মাদারিহাট ছিনিয়ে নিল তৃণমূল। এই প্রথম এখানে ফুটল ঘাসফুল। আর সেই জয়ের নেপথ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের উন্নয়ন এবং তৃণমূলের সাংগঠনিক জোর নাকি বিজেপির কোন্দল, প্রকৃত অনুঘটক কোনটা, তা নিয়ে শুরু চুল চেরা বিশ্লেষণ। ভোটে হারতেই বোমাটা ফাটিয়ে দিয়েছেন বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ জন বার্লা। এই হারের দায় দলেরই একাংশের,স্পষ্ট বলেছেন তিনি। বার্লার কথায়, ‘অহঙ্কার আর ওয়ান ম্যান আর্মির কারণে এই ফলাফল। কলকাতা থেকে পার্টি চালালে এমনটাই তো হবে।’ নাম না করলেও তাঁর নিশানায় মাদারিহাটের প্রাক্তন বিধায়ক তথা আলিপুরদুয়ারের বর্তমান বিজেপি সাংসদ মনোজ টিগ্গা |মাদারিহাটে ৩০ হাজার ৩০৯ ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী জয়প্রকাশ টোপ্পো।এই মাদারিহাট বরাবরই বর্তমান বিজেপি সাংসদ মনোজ টিগ্গার খাসতালুক বলেই পরিচিত। সেই শক্তির উপর ভর করেই ভোটে নেমেছিল বিজেপি। কিন্তু ভোট যত এগিয়ে এল, ততই দেখা গেল বেসুরো গাইছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা। দলের একাংশের বিরুদ্ধে সরাসরি মুখ খুলছেন তিনি। তবে ভোটের ফলাফল বের হতেই দেখা গেল অঙ্ক মিলিয়ে ফেলেছে ঘাসফুল। জন বার্লা বলেন, কলকাতা থেকে দল চালালে এমনটা তো হবেই। চা বাগানের শ্রমিককে গুরুত্বই দেওয়া হয়নি। সেকারণেই এমন ফলাফল হল। আলিপুরদুয়ার জেলার চা-বাগান ঘেরা বিধানসভা কেন্দ্র মাদারিহাট। ভোটারদের বড় অংশ চা বস্তির বাসিন্দা। এক সময় আরএসপির গড় থাকলেও, ২০১৬ সালে এখানে বিজেপি পদ্ম ফোটায়। মনোজ টিগ্গা সেই জয় ধরে রাখেন ২০২১ সালেও। কিন্তু ২০২৪-এর ভোটে মনোজ আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ হওয়ার পর উপনির্বাচন হয় মাদারিহাট বিধানসভায়। সেই ভোটেই বিজেপির হার আর জয়প্রকাশ টোপ্পোর হাত ধরে প্রথম বার জয় পেল তৃণমূল।