দেবরীনা মণ্ডল সাহা :-পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন মামলায় সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্নের মুখে ইডি। ‘এভাবে কতদিন কাউকে আটকে রাখা যায়?’, প্রশ্ন আদালতের। পার্থ চট্টোপাধ্যায় সিবিআই, ইডি ও জেল হেফাজতে কতদিন করে থেকেছেন, তার বিস্তারিত রিপোর্ট চাইল বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইঞার বেঞ্চ। আগামী সোমবার পরবর্তী শুনানি।
একই সঙ্গে দেশের শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, যে কোনও রাজনৈতিক নেতার পক্ষে দুর্নীতিতে মদত জোগানোটা সহজ এবং পরে তাঁরাই নিজেদের নিরপরাধ বলে দাবি করে থাকেন৷ দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে আর্থিক তছরূপের অভিযোগে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে রয়েছেন|
এদিন বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইঞা এবং বিচারপতি সূর্যকান্তের বেঞ্চ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের পক্ষে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজুকে প্রশ্ন করে, “আমরা যদি জামিন না দিই, তাহলে কী হবে ? তাঁর বিচারপর্ব এখনও শুরু হয়নি ৷ এই মামলায় ১৮৩ জন সাক্ষী আছেন ৷ বিচারে সময় লাগবে ৷ আমরা তাঁকে আর কতদিন জেলে রাখতে পারি ? এখন এটাই প্রশ্ন ৷ দু’বছরেরও বেশি সময় কেটে গিয়েছে ৷ এই ধরনের মামলায় ভারসাম্য বজায় রাখব কীভাবে ?” দেশের শীর্ষ আদালতের মতে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ রয়েছে, তা যথেষ্ট গুরুতর এবং অবহেলার বিষয় নয় ৷ সুপ্রিম কোর্ট এদিন ইডির সমালোচনা করে ৷ দুই বিচারপতির বেঞ্চ, অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজুকে বলে, “যদি শেষ পর্যন্ত তিনি দোষী সাব্যস্ত না হন ৷ ২. ৫-৩ বছর অল্প সময় নয় ৷ আপনারা কী মনে করছেন, তিনি (পার্থ চট্টোপাধ্যায়) কত শতাংশ দোষী ? যদি তা ৬০-৭০ শতাংশও হয়, তাতেও তো দোষী সাব্যস্ত করার জন্য এই হার খুবই খারাপ ৷”ইডির হয়ে আদালতে সওয়াল করেন কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু। তিনি পাল্টা সওয়ালে জানান, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছিল, সেই অর্পিতা পার্থের ‘ঘনিষ্ঠ’। তা ছাড়া রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী হিসাবে তাঁর আমলেই দুর্নীতি ছড়ায় বলে আদালতে দাবি করে ইডি।আগামী সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি। ওই দিন পার্থের আর্জির প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্তের কথা জানাতে পারে শীর্ষ আদালত।