প্রসেনজিৎ ধর,কলকাতা :- বেফাঁস মন্তব্যের জেরে ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে শোকজ করল দল। তিনদিনের মধ্যে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে হুমায়ুন কবীর বলেন, “শুনেছি আমাকে শোকজ করা হয়েছে। হাতে আমি কোনও চিঠি পাইনি।”ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়কের কথায়, “বিধানসভার মধ্যে তো কোনও কথা বলিনি!” হুমায়ুন এও বলেন, “রাজনীতির ময়দানে কাউকে ভয় করি না।” প্রশ্ন তুলেছেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে কথা বললে সেটা শৃঙ্খলাভঙ্গ হয় কি করে?”হুমায়ুন এও বলেন, “আমার ব্যক্তিগত স্বার্থে কেউ আঘাত করলে আমার মৃত বাবার সঙ্গেও কম্প্রোমাইজ করিনি, সেখানে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বা ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে করার তো প্রশ্নই নেই।”তিনি এখনও শো-কজের চিঠি পাননি জানিয়ে হুমায়ুন বলেন, “দলে মনে করেছে শো-কজ করেছে। তবে হাতে চিঠি পাইনি। চিঠি পেলে যে যে পয়েন্টে শো-কজ করা হয়েছে তার জবাব দেব|”জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে তিন দফা শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি গড়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেসবের কোনও তোয়াক্কা কার্যত না করেই মঙ্গলবার বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে নাগাড়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন হুমায়ুন। বলেন ,”বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রীর চারপাশে যাঁরা ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে চাইছেন, তাঁদের ভবিষ্যৎ আগামিদিনে অন্ধকার হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যে কয়েকজন ঘিরে রয়েছেন, তাঁদের নিজেদের পরিকল্পনা রয়েছে। তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কতটা ভালো চান, দীর্ঘমেয়াদিভাবে পশ্চিমবঙ্গের শাসক হিসাবে তাঁকে দেখতে চান, তা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে।”হুমায়ুন বলেন, “তৃণমূল যদি আগামিদিনে আমাকে টিকিট না দেয়, বেঁচে থাকলে অপকর্মের জবাব দেব।” নাম না করে নিশানা করেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্য়োপাধ্যায়কেও। একের পর এক বিতর্কির মন্তব্যের জেরে এবার শোকজ করা হল হুমায়ুনকে। আগামী ৩ দিনের মধ্যে জবাব তলব করা হয়েছে।