দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :-শহরে হলুদ ট্যাক্সি উঠে যাওয়ার মুখে। যে সব হলুদ ট্যাক্সির মেয়াদ ১৫ বছরের বেশি সেগুলি গ্রিন ট্রাইবুনালের নির্দেশে রাস্তা থেকে তুলে নেওয়া হতে পারে আগামী জানুয়ারি মাসে। এর ফলে কলকাতায় অর্ধেক হয়ে যাবে হলুদ ট্যাক্সির সংখ্যা। রুটি-রুজির সংকটে পড়বেন ট্যাক্সিচালক ও তাঁদের পরিবার। তাই হলুদ ট্যাক্সি চালকদের নিয়ে প্রতিবাদে পথে কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসি ও সেবাদল।গ্রীন ট্রাইবুনালের নির্দেশে সরে যেতে হতে পারে এই হলুদ ট্যাক্সির একাংশকে। তবে এনিয়ে মন খারাপ অনেকেরই। এই হলুদ ট্যাক্সির একাংশ সরে গেলে অনেকেরই পরিবারে কোপ পড়বে। রুটি রুজিতে টান পড়বে। এবার সেই হলুদ ট্যাক্সিকে বাঁচানোর দাবিতে রাস্তায় নামলেন শ্রমিকরা। আইএনটিইউসির নেতা কর্মীরা রাজরামমোহন সরণীতে এই হলুদ ট্যাক্সিকে বাঁচিয়ে রাখার দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের দাবি কলকাতার বহুগুণীজনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এই ট্যাক্সি। এগুলি কলকাতার ঐতিহ্যকে । সেই হলুদ ট্যাক্সিকে হারিয়ে যেতে দেব না। আইএনটিইউসি সেবাদলের সভাপতি প্রমোদ পাণ্ডে বলেন, ভারতের একমাত্র কলকাতায় এই হলুদ ট্যাক্সি চলে। এটা আমাদের ঐতিহ্য। আমরা রাস্তায় নেমেছি। হলুদ ট্যাক্সি বন্ধ করা চলবে না। এই হলুদ ট্যাক্সি যারা চালান তাঁরা কোথায় যাবেন? বিকল্প না করে এই হলুদ ট্যাক্সি বন্ধ করা যাবে না। সেই সত্যজিৎ রায়, উত্তমকুমার এই হলুদ ট্যাক্সি নিয়ে সিনেমা করেছেন। আর সেই হলুদ ট্যাক্সি কলকাতা থেকে তুলে দেওয়া হলে সেটা কিছুতেই মানব না। পরিসংখ্যান বলছে, এক সময়ে কলকাতায় প্রায় ১২ লক্ষ হলুদ ট্যাক্সি চলত। পরে তা কমতে কমতে ৫ হাজারে এসে ঠেকে। এখন গ্রিন ট্রাইবুনালের নির্দেশে হলুদ ট্যাক্সি উঠে গেলে কী হবে, তা ভেবেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বর্তমানের ট্যাক্সিচালকরা। কেউ কেউ আবার ইলেকট্রিক ভেহিকেলে চলে যাওয়ার কথা ভাবছেন। কিন্তু হলুদ ট্যাক্সি একটা নস্টালজিয়া। তাই এই যান উঠে যাওয়ার পক্ষে নয় অধিকাংশই।