দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- প্রতারকদের ফাঁদে পা দিয়ে ৬৬ লক্ষ ২৬ হাজার টাকা খোয়ালেন কলকাতার এক তরুণী। দিল্লি পুলিশের সাইবার ক্রাইমের নাম করে আইনি জটিলতার ভয় দেখিয়ে প্রথমে তরুণীকে আতঙ্কে ফেলা হয়। তারপর তাঁকে এই বিপুল অঙ্কের টাকা ট্রান্সফার করতে বাধ্য করা হয় বলে খবর। তবে শেষমেশ ভয় কাটিয়ে চারু মার্কেট থানার দ্বারস্থ হয় প্রতারিত তরুণী। দায়ের করা হয় লিখিত অভিযোগ। তারপরই তৎপরতার সঙ্গে তদন্ত শুরু করে চারু মার্কেট থানার পুলিশ। বিভিন্ন জায়গায় চালানো হয় তল্লাশি। অবশেষে, শিয়ালদহর একটি হোটেল থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে ধৃতদের কাছ থেকে তিনটি মোবাইল, একটি সিম কার্ড এবং ব্যাঙ্কের কিছু নথি উদ্ধার করা হয়েছে।জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম ধনজি জগন্নাথ শিন্ডে ও বিনোদ কন্ডিবা পাওয়ার। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতরা এক মহিলাকে ফোন করেন। নিজেদের দিল্লি পুলিশের আধিকারিক পরিচয় দিয়ে জানান, তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তাঁকে গ্রেপ্তারির ভয় দেখানো হয়। জানান, সেটেলমেন্ট করতে দিতে হবে ৬৬ লক্ষ টাকা। কী অপরাধ করেছেন, তা বুঝতে না পারলেও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মহিলা। চাপের মুখে টাকা দিতে রাজি হয়ে যান।পরবর্তীতে বিষয়টি জানতে পেরে তদন্তে নামে পুলিশ। উঠে আসে ধনজি জগন্নাথ শিন্ডে ও বিনোদ কন্ডিবা পাওয়ার-এর নাম। তাদের খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি। শিয়ালদহের এক হোটেল থেকে এই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি ৬৬ লক্ষ টাকারও সন্ধান পাওয়া গেছে বলে খবর। জানা গেছে, তাঁদেরই একজনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এই টাকা পাঠানো হয়েছিল। ধৃতদের কাছ থেকে একাধিক মোবাইল, সিমকার্ড এবং ব্যাঙ্কের নথি উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুধু বাংলা নয়, দেশজুড়েই বেড়ে চলেছে এই ধরনের প্রতারণার ঘটনা। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে বহু হোয়াটসঅ্যাপ এবং স্কাইপ আইডি। এদিকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারও ডিজিটাল প্রতারণা বন্ধ করতে উদ্যোগ নিয়েছে|