Breaking News

দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন অক্ষয় তৃতীয়ায়,মন্দির পরিদর্শনের পর জানালেন মমতা!

দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- আগামী বৈশাখ মাসে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন হবে। নির্মীয়মাণ জগন্নাথ মন্দির পরিদর্শনের পর এমনটাই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার তিনি জানান, এবার থেকে রথযাত্রা শুরু হবে দিঘার জগন্নাথ মন্দির থেকে। সোনার ঝাড়ুর জন্য নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা দেবেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘সমুদ্রসৈকতে একটি জগন্নাথ মন্দির তৈরি করব বলে ঠিক করেছিলাম। আমার সঙ্গে সরকারি আধিকারিকেরা ছিলেন। তিন বছর পর সেই কাজ শেষ হল।’’শুধু তাই নয়, কালীঘাটের প্যাঁড়া থেকে শুরু করে গজা, গুজিয়া পাওয়া যাবে মন্দির চত্বর থেকে। মন্দিরের কাজ খতিয়ে দেখার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, রাজ্যের মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে জগন্নাথ মন্দিরের জন্য ট্রাস্ট বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তাতে ইসকন রয়েছে। এছাড়া থাকছেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক, জেলার পুলিশ সুপার, ইসকন এবং সনাতন ধর্মের প্রতিনিধি এবং জগন্নাথ দেবের মন্দিরের পূজারী। তিনি এও স্পষ্ট করে দেন, ট্রাস্টের সদস্য তিনি নন। যা করছেন একজন স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে করছেন।২০ একর জায়গায় তৈরি হয়েছে এই জগন্নাথ মন্দির। এবার থেকে রথযাত্রাও হবে এই মন্দির চত্বর থেকে। মন্দিরের আশেপাশে সনাতন ধর্মের লোকজন দোকান করবেন বলেও জানান মমতা। ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই জগন্নাথ মন্দির তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজের অ্যাকাউন্ট থেকেও এর জন্য ৫ লক্ষ টাকা দেবেন তিনি বলে জানিয়েছেন মমতা। বলেন, রথে সোনার ঝাড়ু থাকে। তার জন্য তিনি নিজে থেকে ৫ লক্ষ টাকা দেবেন।দিঘায় তৈরি হওয়া জগন্নাথ মন্দিরের মূল প্রবেশের জায়গায় থাকবে চৈতন্যদেবের মূর্তি। এছাড়া রাজস্থানের পাথরের কাজ থাকবে মন্দিরে। পাশাপাশি পুরীর মন্দিরে যেমন ধ্বজা তোলা হয়, এখানেও তোলা হবে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে দিঘায় পুরীর মন্দিরের আদলে জগন্নাথ মন্দির তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ২০২২ সালের মে মাসে মন্দির তৈরির কাজ শুরু করে হিডকো।পুরো কাজের জন্য হিডকোকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্যনন্ত্রী। তিনি আরও জানান, ওই জায়গায় পুলিশ পোস্ট, রথ রাখার জায়গা ইত্যাদি তৈরি হবে। কয়েকটি অতিথি নিবাস থাকবে পুরোহিতদের জন্য। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘এখানে আমি কোনও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ চাই না। আমি কিন্তু ট্রাস্টির মেম্বার নই। এখানে যা করছি স্বেচ্ছাসেবী হিসাবে করছি। বাকিটা ট্রাস্টির সদস্যেরা করবেন।’’

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *