প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- খিদিরপুরের অরফ্যানগঞ্জ মার্কেটের ভয়াবহ আগুন ঘিরে দমকল বিভাগের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে একাধিক প্রশ্ন উঠছিল। কখনও অভিযোগ উঠেছে দেরিতে ইঞ্জিন পৌঁছনোর, কখনও আবার পর্যাপ্ত জলের ঘাটতির কথা বলা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার বিধানসভায় ঘটনার বিস্তারিত বিবৃতি দেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। কোনও গাফিলতি ছিল না বলেই তিনি দাবি করেছেন।মঙ্গলবার বিধানসভায় এই ঘটনা নিয়ে বিবৃতি দিলেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু| একে একে সকলের সমস্ত অভিযোগ খণ্ডন করলেন তিনি। অগ্নিকাণ্ডের সময় থেকে আগুন নিভে যাওয়া পর্যন্ত সময় ধরে ধরে পরিস্থিতির বর্ণনা দিলেন সুজিত বসু। তাঁর আবেদন, ”সেনাবাহিনী যেভাবে কাজ করে, দমকল কর্মীরাও তাঁদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন। তাঁদের ছোট করবেন না।”বিধানসভায় সুজিত বসু বিবৃতি দিয়ে জানান, ”রাত ২.০৫ মিনিটে প্রথম দমকলের কন্ট্রোল রুমে ফোন আসে। সঙ্গে সঙ্গেই দমকলের গাড়ি পৌঁছয়। ২০ টি ইঞ্জিন গিয়েছে সেখানে, আমি নিজে সকাল ছ’টায় পৌঁছই। একাধিক আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন। দমকলের গাড়ি দেরি করে পৌঁছেছে যাঁরা বলেছেন, এটা ঠিক নয়। ইঞ্জিনে ফুয়েল ছিল। গঙ্গা থেকে জল তোলার জন্য কেন পাম্প চলেনি, সেটা দেখতে হবে। তবে পরে আদি গঙ্গা থেকে জল এনে জল দেওয়া হয়েছে আগুন নেভানোর জন্য।”
রবিবার গভীর রাতে খিদিরপুরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অভিযোগ উঠেছিল, দমকলের কাছে পর্যাপ্ত জল ছিল না। ইঞ্জিন পৌঁছতে দেরি হয়েছে, জল দেওয়ার সময় দমকলের ইঞ্জিন বিকল হয়ে গিয়েছিল। মঙ্গলবার বিধানসভায় এসব অভিযোগের জবাব দিলেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু | দাবি করেছেন, ”জীবন বাজি রেখে দমকল বাহিনী আগুন নেভানোর কাজ করে। গত বছর আগুন নেভাতে গিয়ে চারজন দমকল কর্মীর মৃত্যু হয়েছিল। বালিতে আগুন নেভাতে গিয়ে একজন দমকল কর্মী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। দেশের সেনাবাহিনী যেভাবে লড়াই করে, সেভাবেই লড়ে দমকল বাহিনী।”দমকলমন্ত্রী জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অগ্নিকাণ্ডস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট তলব করেছেন। প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, প্রায় ৭০০ জন এই অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংগ্রহের কাজ এখনও চলছে। মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছেন।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal