প্রসেনজিৎ ধর :- ছাব্বিশের ভোটের আগে আরও বড় দায়িত্বে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এতদিন এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন প্রবীণ নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। অসুস্থতার কারণে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে ৷ অপরদিকে, একইদিনে লোকসভায় চিফ হুইপের পদ ছাড়লেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়৷শুধু ইস্তফা দেওয়া নয়, কিছুক্ষণের মধ্যে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলে কল্যাণ বলেন, মমতাদি বলেছেন, আমি নাকি ঠিক মতো সমন্বয় করে চলতে পারছি না। লোকসভায় কে কবে কখন বলবেন, তাও ঠিক করতে পারছি না। তাই আমি ইস্তফা দিয়েছি।সেই নিয়ে যখন চর্চা চলছে ঠিক তখনই সরাসরি মহুয়া মৈত্রের নাম না-নিয়ে কৃষ্ণনগরের সাংসদের উদ্দেশে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ। এর মাঝেই শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ এক্সে একটি পোস্ট করেন ৷ কৃষ্ণনগরের তৃণমূলের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের দিকে আঙুল তুলে এক্স হ্যান্ডেলে কুণাল লেখেন, “আমি মহুয়া মৈত্রর সাম্প্রতিক মন্তব্যগুলো লক্ষ্য করেছি। এক পডকাস্টে তিনি তাঁর সহ-সাংসদকে ‘শুয়োর’ পর্যন্ত বলেন। এ ধরনের অবমাননাকর ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি অবজ্ঞা ছাড়া কিছু নয়।”
তবে কল্যাণ দাবি করেছেন, তাঁর পদত্যাগের সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই৷ শ্রীরামপুরের সাংসদ বলেন, দিদি যখন ঠিক করেছেন অভিষেক যোগ্য তাহলে নিশ্চয়ই সমন্বয় ভাল হবে৷ আমি কোনও অন্যায় কথা মানতে পারব না৷ তাতে রাজনীতি ছাড়তে হলে ছেড়ে দেবো৷ অভিষেকের সঙ্গে আমার কোনও মতবিরোধ নেই৷ আমার সঙ্গে যথেষ্ট ভাল সম্পর্ক৷তবে কল্যাণের ইস্তফা এখনও গৃহীত হয়নি।তবে কল্যাণ বলেন, যেভাবে ইস্তফা দিতে হয় সেভাবেই দিয়েছি। অবশ্য এর পর অভিষেক আমাকে ফোন করেছিল। ও বলেছে, ৭ তারিখ দিল্লিতে আসছে। ততদিন যেন অপেক্ষা করি।”
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal