প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- মমতা বন্দ্যোপাধায়ের সরকারকে হুঁশিয়ারি দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি নির্ভরতা শোনা গেল শুভেন্দু অধিকারীর গলায় | প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ঢাল করে তাঁর মন্তব্য, ‘দেশে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী এখনও আছেন | তিনি ৩৭০ ধারা বাতিল করে কাশ্মীরকে সোজা করে দিয়েছেন |’ অর্থাৎ এই রাজ্যকেও সোজা করে দেবেন প্রধানমন্ত্রীই বলে বোঝাতে চেয়েছেন তিনি | আবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টকে হাতিয়ার করে শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য, ‘জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে আমরা আবেদন করে আনিনি | হাইকোর্ট পাঠিয়েছে | তাদের রিপোর্টে অনেক নেতা, মন্ত্রীরা আছেন| আবার অনেক গুন্ডার নাম বাদও চলে গিয়েছে | অনেক দলদাস পুলিশের নাম নেই | সেগুলো আমরা আগামী দিনে আবেদন করব |’ প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা ঠেকাতে প্রশাসনের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি | বরং সামনে থেকে মদত দিয়েছেন শাসক দলের একাধিক নেতা, মন্ত্রী | অভিযুক্ত হিসেবে প্রত্যেকের নামও লেখা হয়েছে রিপোর্টে | এরপরেই শুভেন্দু রাজ্যকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘ভেবেছিলেন যা খুশি করব! ভুলে যাবেন না দেশের প্রধানমন্ত্রী এখনও নরেন্দ্র মোদি | ৩৭০ ধারা বাতিল করে কাশ্মীরকে সোজা করে দিয়েছিলেন | পশ্চিমবঙ্গে ও আইনের শাসন নেই, শুধু শাসকের পাশে আইন আছে |’যদিও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, হঠাৎ করে রাজ্যকে শুভেন্দুর এমন হুঁশিয়ারি স্বাভাবিকভাবেই মনে করিয়ে দিচ্ছে তার বিরুদ্ধে ওঠা খুনের অভিযোগ | বর্তমানে ওই ঘটনার তদন্ত করছে সিআইডি | গতকালই শুভেন্দুর বাড়িতে গিয়েছিলেন রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা| শান্তিকুঞ্জ লাগোয়া যে বাড়িতে থাকতেন তাঁর দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তী সেই বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয় | যদিও এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু জানিয়েছিলেন, ‘কিছুই করতে পারবেনা, আমার কাঁচকলা করবে |’এখন ঘরে-বাইরে প্রবল চাপের মুখে রয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা | নানারকম তদন্ত শুরু হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে | বিজেপির অন্দরে অনেকে শুভেন্দুকে মেনে নিতে পারছেন না | তাঁর নেওয়া সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতেই বিধানসভায় কোনও কমিটিতে নেই বিজেপি বিধায়করা |