প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- সাম্প্রতিক কালে ভারী বৃষ্টিতে কলকাতা ও শহরতলি এলাকাতেও আমরা বেশ কিছু প্রাণ যেতে দেখেছি জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঘটনায় | সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে শনিবার সিইএসসি ও কেএমসি-কে কার্যত হুঁশিয়ারি দিলেন কলকাতার পুরনিগমের প্রধান প্রশাসক তথা রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম | এদিন তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘কেউ যদি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় তাহলে আমি ছাড়ব না |’মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সমর্থনে চেতলায় নির্বাচনী প্রচারে এসে এই মন্তব্যই করলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী| এদিন তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় খোলা তার পড়ে রয়েছে | আমি সিইএসসি ও কেএমসি’র কমিশনারকে বলেছি, কেউ যদি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় তাহলে আমি কিন্তু ছাড়ব না | খোলা তার থাকলেও এখনই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি | সাধারণ মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে | ৩০ তারিখ মানুষ যদি ভোট দিতে পারে তাহলে বড় ব্যবধানে জিত হবে | কারণ, বৃষ্টিবাধা আসতে পারে | আসন্ন বৃষ্টির জন্য পুরসভা পুরোপুরি ভাবে তৈরি রয়েছে |কিন্তু যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে তাতে ওয়াটার লগিং হতেই পারে | শুধু আমাদের এখানে নয়, বম্বে,দিল্লি, আহমেদাবাদ, মাদ্রাজ- সব জায়গাতেই জল জমে | কারণ, মেঘ ভেঙে বৃষ্টি হচ্ছে| এই ধরনের বৃষ্টি হবে কোনও আরবান প্লেসে, আগে বুঝতে পারিনি | যদি এই বৃষ্টিকে সামাল দিতে হয় তাহলে যে ড্রেনেজ সিস্টেম তৈরি করতে হবে তাকে দশ হাজার থেকে পনেরো হাজার কোটি টাকা লাগবে শুধু কলকাতাতেই | এই জল বার করতে যে বড়ো পাইপ বসাতে হবে তারও জায়গা নেই কলকাতায় |’প্রসঙ্গত, গত শেষ চার দিনে কলকাতা সহ রাজ্যের নানা জেলায় প্রায় ১৪জন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন বলে খবর | সেই প্রেক্ষাপটে এদিন ফিরহাদ হাকিম সরাসরি আক্রমণ করলেন কলকাতা ও শহরতলি এলাকায় বিদ্যুৎ বণ্টনকারী সংস্থা সিইএসসিকে |অনেকেই মনে করছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ওইসব মৃত্যুর ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করতে ও মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করার হুমকি দিয়েছেন | তাঁর জেরেই এদিন ফিরহাদও পাল্টা চাপ দিলেন |