নিজস্ব সংবাদদাতা, বীরভূম :- ফের খবরের শিরোনামে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় | এবার ব্যাপক নম্বর বিভ্রাটের জেরে কর্তৃপক্ষকে ভূমিকা নিয়ে শুরু হয়ছে জোর সমালোচনা |বিশ্বভারতীর বিনয় ভবনের এমএড-এর মেধাতালিকা প্রকাশিত হয়েছে | যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ পড়ুয়াদের | এমন ত্রুটিপূর্ণ মেধাতালিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে | কর্তৃপক্ষের এমন কাণ্ড দেখে হতবাক তাঁরা | অথচ পড়ুয়াদের প্রশ্নের উত্তর নেই কর্তৃপক্ষের কাছে | চলতি বছরে বিনয় ভবনে এমএড পাঠক্রমে ভর্তির জন্য অনলাইনে প্রবেশিকা পরীক্ষা হয়েছিল গত ১৪ সেপ্টেম্বর | পরীক্ষা দিয়েছিলেন বিশ্বভারতীর অভ্যন্তরীণ এবং অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা | সেই মেধাতালিকা প্রকাশিত হতেই হইচই | দেখা যাচ্ছে ল্যাঙ্গুয়েজ গ্রুপে ২ পড়ুয়া ১০০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছেন যথাক্রমে ২০০.২৮ ও ১৯৮.৩৮৫ নম্বর | সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দুই পড়ুয়া যথাক্রমে পেয়েছেন ১৯৬.৩৬৭ ও ১৫১.২৭৫| কোন পর্যায়ের গাফিলতি হলে একশোর মধ্যে কেউ ২০০ পেতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে | এতে চূড়ান্ত বিভ্রান্তিতে পড়েছেন পরীক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, দ্রুত ওই মেরিট লিস্ট বাতিল করে নির্ভূল মেধাতালিকা প্রকাশ করুক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ| কিন্তু এই দুটি নম্বরই যাবতীয় সমালোচনার কেন্দ্রে |বিশ্বভারতীর প্রবেশিকা নিয়ে একাধিক গরমিলের অভিযোগ বরাবরের| হাজারও কারচুপির অভিযোগ ওঠে প্রতি বছর | মোটা অঙ্কের বিনিময়ে বাইরের পড়ুয়াদের ভরতি নেওয়ার জন্য বিশ্বভারতীর পডুয়াদেরই উচ্চশিক্ষার সুযোগ দেওয়া হয় না | এম.এডের প্রবেশিকা পরীক্ষার এই নম্বর বিভ্রাটও কি তারই একটি অংশ?