নিজস্ব সংবাদদাতা,মালদহ :- মেয়ে হওয়ার জেরে স্ত্রীকে হাসপাতালে ফেলে চলে গেলেন স্বামী বলে অভিযোগ | মালদহের এক বেসরকারি হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটেছে | ঘটনার ২২ দিন পরে মালদহ জেলা পুলিশের তৎপরতায় সেই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে ওই গৃহবধূকে নিয়ে যাওয়া হল হোমে | জানা গিয়েছে, এক বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করেছিল একুশ বছরের পূজা মার্ডি ও ২৪ বছরের সুরাজ বেসরা | দুইজনেরই বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট থানার মঙ্গলপুর গ্রামে | গত ১২ নভেম্বর প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে মালদার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন পূজা | সেদিনই তিনি এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন | কিন্তু সেই খবর পাওয়ার পরেই পেশায় শ্রমিক সুরাজ আর হাসপাতালমুখো হয়নি | এমনকি পূজার শ্বশুরবাড়ি থেকে কেউ এসে একবারের জন্য তাঁদের দেখেও যায়নি| আবার বাড়ির অমতে বিয়ে করায় পূজার বাপের বাড়িরও কেউ হাসপাতালে আসেনি | তাঁর কোনও খোঁজখবরও নেয়নি | এই অবস্থায় টানা ২২ দিন ধরে মালদহের ওই বেসরকারি হাসপাতালেই ছিলেন পূজা ও তাঁর সদ্যজাত কন্যা | শেষে ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানায় | তারপরেই এদিন পূজা ও তাঁর সদ্যজাত কন্যাকে মালদা জেলারই এক সরকারি হোমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে | পূজার দাবি, তাঁদের গ্রামের এক ওঝা নাকি তাঁর শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের আশ্বাস দিয়েছিল তাঁর ছেলে হবে | কিন্তু হয়েছে মেয়ে | তার জেরে ওই ওঝা সুরাজ ও তার বাড়ির লোকেদের ওই মেয়েকে বাড়ি নিয়ে যেতে বারণ করে | জেলা পুলিশ সুপারের তৎপরতায় ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে | দক্ষিণ দিনাজপুরের আধিকারিকদেরও ঘটনার কথা জানানো হয়েছে | পরিবারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই জানা গেছে |