প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- এ রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্ত-এর সংখ্যা | এই অবস্থায় আর ঝুঁকি নিচ্ছে না প্রশাসন | দ্রুত শুরু হচ্ছে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জ়োন তৈরির কাজ | যে সব অঞ্চলে অন্তত ৫ জন করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে, সেই জায়গাকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জ়োন হিসেবে চিহ্নিত করা হবে| পরিস্থিতি সামাল দিতে শুক্রবার বৈঠক বসে কলকাতা পুরনিগমে, সেই বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে | রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “ডেল্টার থেকেও দ্রুত সংক্রমিত হয় ওমিক্রন | তাই প্রথম বা দ্বিতীয় ঢেউয়ের তুলনায় এবার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে | সেই কারণে কলকাতা-সহ গোটার রাজ্যের সব কোভিড হাসপাতাল ও সেফ হোমগুলিকে খুলে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে | স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসকদের ফের কোভিড ডিউটিতে ফিরিয়ে আনা হবে| অক্সিজেন, ওষুধ সরবরাহ অক্ষুন্ন রাখতে আলাদা টিম তৈরি করা হয়েছে|”এদিন কলকাতা পুরনিগমে বৈঠকে বসেন, মেয়র ফিরহাদ হাকিম, ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ | বৈঠকে ছিলেন স্বাস্থ্য দফতর ও কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরাও | প্রাথমিকভাবে শহরের ১৭ টি জায়গাকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জ়োন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বৈঠকে, যেখানে ৫ জনের বেশি আক্রান্ত হয়েছেন | মূলত দৈনিক সংক্রমণ ও ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন| কলকাতার কোন কোন ওয়ার্ডে বা বোরোতে করোনা সংক্রমণ বেশি, তা নিয়ে আলোচনা হয় এ দিনের বৈঠকে | স্বাস্থ্যকর্তারা বলছেন, পরিসংখ্যানের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি উল্লেখ্য, কত নমুনা পাঠানো হচ্ছে আর কত নমুনা পরীক্ষার পর পজিটিভ হয়ে আসছে | বৃহস্পতিবার দেখা গিয়েছে, ৬ জনের নমুনা পাঠানোর পর ৫ জনের পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে | তা থেকেই বিশেষজ্ঞদের অনুমান, কলকাতায় গোষ্ঠী সংক্রমণের ইঙ্গিত স্পষ্ট | অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকে ধীরে ধীরে সরিয়ে ওমিক্রন তার থাবা বসাচ্ছে | কলকাতায় টেস্ট ও পজিটিভিটি রেটও সমান হারে বাড়ছে| এখনও পর্যন্ত কলকাতায় ওমিক্রন আক্রান্ত ১৬|