দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- এ রাজ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা | সঙ্গে রয়েছে ওমিক্রনের সংক্রমণও | এমন এক পরিস্থিতিতে আশঙ্কার কথা শোনালেন রাজ্যের বিশিষ্ট চিকিসকেরা| চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার, অভিজিৎ চৌধুরী, কুণাল সরকার যা জানালেন সেটা যথেষ্টই ভীতিপ্রদ | তাঁদের বক্তব্য, সবাই প্রশ্ন করছে দেশে তৃতীয় ঢেউ এসেছে কিনা বা আসবে কিনা? বর্তমানে কী অবস্থায় রয়েছি আমরা? এ নিয়ে স্পষ্ট বলে দেওয়া যায়, আমার করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের মধ্যে রয়েছি | এ নিয়ে কোনও দ্বিধা নেই | মঙ্গলবার এসএসকেএম হাসপাতালে এক সাংবাদিক সম্মেলনে চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার বলেন, সবাই প্রশ্ন করছে তৃতীয় ঢেউ এসেছে কিনা, আসবে কিনা, কী অবস্থায় রয়েছে | এ নিয়ে স্পষ্ট বলে দেওয়া যায়, আমার করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের মধ্যে রয়েছি। এনিয়ে কোনও দ্বিধা নেই | আগের ওয়েভগুলোর সঙ্গে এর চরিত্রটা যদি তুলনা করি তাহলে বুঝতে পারব দক্ষিণ আফ্রিকাতে আক্রান্তের সংখ্য়া ৩৫০ থেকে ৩৫০০০ হতে মাত্র ১০ দিন লেগেছিল | অর্থাৎ দশদিনে সংক্রমণ বেড়েছে হাজার শতাংশ | ব্রিটেনে ২ লাখ থেকে ২.১৫ লাখ পৌঁছতে সময়ে লেগেছে ১০-১৪ দিন | ভারত বা পশ্চিমবঙ্গের কথা বিচার করলে যদি ২৭ তারিখ থেকে ধরা যায় তাহলে ১০-১২ দিনের মধ্যে বিশাল সংখ্যক রোগী ভর্তি হয়ে যাবে | চিকিৎসক কুণাল সরকার বলেন,আমরা যদি অসাবধান হই তাহলে এটা বাড়বে | দক্ষিণ আফ্রিকাতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার ফলেই এই ঢেউ ৪ সপ্তাহের মধ্যে ঠেকানো গিয়েছিল| ভিড় বাড়ালে অতিমারীর চেহারা বাড়বে | অসতর্ক হলে সহজে এই ঢেউ চলে যাবে না|| ডা অভিজিৎ চৌধুরী বলেন,সরকার তার করোনা গাইডলাইন বদল করেছে | এরপর তাদের হাতে যত তাড়াতাড়ি নতুন তথ্য আসবে তখনই গাইডলাইন বদল করা হবে | তৃতীয় ঢেউ এসে গিয়েছে |আমরা এর প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছি | এই ঢেউয়ের চরিত্র কেমন হবে, জটিলতা কেমন হবে তা আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে স্পষ্ট হবে |