দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- বছরের শেষে ভালো খবর এল না প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জীবনে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হইকোর্ট। একইসঙ্গে জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গেল কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, শান্তিপ্রসাদ সিন্হা, সুবীরেশ ভট্টাচার্য এবং অশোককুমার সাহারও।নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইডির মামলায় আগেই জামিন পেয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে সিবিআইয়ের মামলায় জামিন নিয়ে বিচারপতিদের মধ্যে মতান্তর হওয়ায় মামলাটি বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর একক বেঞ্চে পাঠিয়েছিলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম| মঙ্গলবার ওই মামলায় পার্থ-সহ শিক্ষা দফতরের অভিযুক্ত প্রাক্তন পাঁচ পদস্থ কর্তার জামিন খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘এরাঁ প্রত্যেকেই পদে ছিলেন। পদে থেকে নিজেদের দায়িত্ব এড়াতে পারেন না।’ বিচারপতি এও বলেন, “যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের বঞ্চিত করে অযোগ্যরা চাকরি করলে শিক্ষাব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়বে।” কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে এদিনও প্রভাবশালী ‘তত্ত্বে’ পার্থ-সহ শিক্ষা দফতরের এই পাঁচ প্রাক্তন কর্তার জামিনের বিরোধিতা করা হয়।এদিন বিচারকের ভর্ৎসনা, “আপনাদের জন্য চার্জ গঠনে দেরি হচ্ছে। আগে জানাননি কেন? তাহলে স্পেসিফিক অর্ডার দিতে হত আমাকে।” তাঁর প্রশ্ন, “কেন নথি দিতে পারেননি? কত দিন সময় লাগবে?” ইডির পালটা যুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করেন, “একটা মোবাইল ডাটা নিতে ১০-১২ ঘণ্টা লাগে।” পালটা বিচারকের নির্দেশ, “এখন ঘড়িতে বাজে দুটো। বারো ঘন্টা মানে রাত দুটোর মধ্যে কপি বানান। সারারাত জেগে কাজ করুন। দরকার হলে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে দিয়ে আসবেন। ডিজিটালি দিলে হবে না।” অভিযুক্তদের আইনজীবীরা বলেন, “ওঁদের আসতে হবে না। আমরা যেতে পারি। কারণ এরা এলে তো বলবে ইডি এসেছে। তাতে ইমেজ নষ্ট।”বিচারকের স্পষ্ট নির্দেশ, “আমাকে তো রিপোর্ট দিতে হবে। ডিসান হাসপাতালে মতো অবস্থা। তোমার ছুটি আমার নয়।” আগামিকাল দুপুর আড়াইটের মধ্যে নথি জমা দিতে হবে। ইডির আইনজীবী বলার চেষ্টা করেছিল, আগামিকাল বিকেল চারটে-পাঁচটা হবে। কিন্তু সে কথা শোনেননি বিচারক। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কাল দুপুর আড়াইটের মধ্যে দিতে হবে নথি।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal