প্রসেনজিৎ ধর :- বাংলায় শাহী সফরের মধ্যেই ঝাড়গ্রামে পদত্যাগ করলেন ৮০ জন বিজেপি নেতা–কর্মীর | জেলা কমিটি নিয়ে অভিযোগ তুলে ইস্তফা দিলেন ১৬ জন বিজেপি নেতা |বৃহস্পতিবার বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলা কমিটির ১৬ জন সদস্য-সহ জেলার প্রায় ১৮টি মণ্ডল, নগর মণ্ডল, শক্তিকেন্দ্র প্রমুখ-সহ বুথ স্তরের সভাপতি, সহ-সভাপতি, সম্পাদক, সদস্যরা দলের পদ ছাড়তে চেয়ে গণস্বাক্ষর করেছেন | নতুন জেলা কমিটির সদস্যরা অযোগ্য এবং দলের একনিষ্ঠ কর্মীদের অসম্মান করার অভিযোগে ওই ইস্তফার হিড়িক।এই বিপুল পরিমাণ পদত্যাগপত্র পেয়ে বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে কথা বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য নেতৃত্ব | দিলীপ ঘোষের খাসতালুক ঝাড়গ্রামে জেলা কমিটি থেকে শুরু করে বিভিন্ন মণ্ডল সভাপতির গণইস্তফার হিড়িক পদ্মশিবিরে | বর্তমান জেলা কমিটিকে তুলোধোনা করে, অযোগ্য বলে লেখা একটি চিঠি নিয়ে জেলার দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন পদত্যাগীরা | তবে অফিসে কোনও জেলা নেতৃত্ব ছিলেন না | তারা দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে ফিরে যান | তাঁরা জানান, এই ইস্তফাপত্র জেলা সভাপতির কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে |
বিনপুর মণ্ডল সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে চন্দ্রশেখর প্রতিহারকে জেলা কমিটির সদস্য করা হয়েছে | চন্দ্রশেখরবাবু বলেন, “কোনও আলাপ-আলোচনা ছাড়াই আমায় জেলা কমিটির সদস্য করা হয়েছে | এই নেতৃত্বের সঙ্গে কাজ করতে পারব না | মামলা-মোকদ্দমায় কর্মীদের এরা সাহায্য করছে না | কোনও রকম কর্মসূচি নিচ্ছে না | সাধারণ কর্মী হিসাবে এলাকায় কাজ করব। কোনও পদে থাকতে চাই না|”শালবনির মণ্ডল সভাপতি পূর্ণচন্দ্র মাহাতোকেও জেলা কমিটিতে আনা হয়েছে | পূর্ণচন্দ্রবাবুর বক্তব্য, “জেলা কমিটির বিরুদ্ধেই আমাদের ক্ষোভ | কর্মীদের সঙ্গে এদের কোনও যোগাযোগ নেই | কর্মীদের কোনও সম্মান জানায় না এরা | তাই জেলা কমিটির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি| সাধারণ কর্মী হিসাবে কাজ করব |”এই ঘটনা দেখে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস | ঝাড়গ্রামের তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কমিটির সদস্য রেখা সোরেন বলেন, ‘বিজেপির যা সংস্কৃতি তাতে কেউ থাকতে পারে না | যেভাবে জনবিরোধী নীতি নিচ্ছে তাতে কেউই থাকবে না |’