প্রসেনজিৎ ধর :- সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের বিরুদ্ধে | প্রায় ৮৩ লক্ষ টাকা প্রতারণা করার অভিযোগ | ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মঙ্গলকোটের ঝিলু ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় | এমন ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায় | ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে ওই উপপ্রধানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ | ধৃতকে বুধবার কাটোয়া আদালতে পেশ | পুলিস সূত্রে খবর, উপপ্রধান হেকমত আলি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ২০১৯ সালে জুলাই মাস থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বীরভূমের কীর্ণাহার এলাকার নিজের জামাই-সহ ১১ জনের কাছ থেকে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি করে দেবেন বলে ৮২ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন | পাঁচ চাকরি প্রার্থীকে হেকমত আলি ভুয়ো নিয়োগপত্রও দিয়েছিল | শুধু নিজের জামাইয়ের বাবার কাছ থেকে নয়, বদরুদ্দোজার সূত্রে আরও আরও ১১ জনকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় অভিযুক্ত উপপ্রধান শেখ হেকমত আলি | এইভাবে মোট ৮২ লাখ ৯০ হাজার টাকা নেয় অভিযুক্ত | এমনকি কয়েকজনকে চাকরির জন্য জয়েনিং লেটারও দেওয়া হয় | যদিও পরে জানা যায় সেগুলি ভুয়ো | এরপরেই বেয়াইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন বদরুদ্দোজ | এর পর তদন্তে নেমে মঙ্গলবার রাতে ঝিলু দু’নম্বর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান হেকমত আলিকে গ্রেফতার করে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ | নতুন হাটের স্কুল মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করে তদন্তকারীরা | এদিকে, পারিবারিক বিবাদের ঘটনার জের হিসেবে প্রতারণা মামলা দায়ের করা হয়েছে বাবার বিরুদ্ধে,এমনটাই দাবি করলেন অভিযুক্তের মেয়ের | চাকরি দেওয়ার নামে ৮৩ লক্ষ টাকা টাকা আত্মসাতের ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করছেন হেকমত আলির মেয়ে জিন্নাতুন নিশা| এ বিষয়ে মঙ্গলকোট ব্লক তৃণমূল সভাপতি তথা স্থানীয় বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী বলেন, ”হেকমতের বিরুদ্ধে আগেও অভিযোগ শুনেছিলাম | তাঁকে সতর্ক করা হয়েছিল | এমনকি ওই কার্যকলাপের জন্য আমাদের পার্টি অফিসেও ওকে ঢুকতে দেওয়া হত না | পঞ্চায়েত অফিসেও যেত না | আইন আইনের পথেই চলবে |”বিজেপির বর্ধমান জেলা সভাপতি গোপাল চ্যাটার্জী অবশ্য বলেন, তদন্ত করলে আরো অনেক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতার নাম উঠে আসবে |